কলকাতা: বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার দল আওয়ামী লীগকে ক্ষমতা থেকে সরাতে ফের একবার সেনাবাহিনী বিদ্রোহ ঘোষণা করতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন ভারতীয় গোয়েন্দরা। আগাম সর্তকতা হিসাবে ইতিমধ্যে সীমান্তবর্তী ৬টি রাজ্যকে বিশেষ ভাবে সর্তক করা হয়েছে।
এর পাশাপাশি সীমান্তে বিএসএফ ও কোস্টগার্ডকে বিশেষ নজরদারি চালানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে একটি বিশেষ সূত্রে জানা গেছে।
সুত্রটি জানিয়েছে, বাংলাদেশ থেকে পলাতক বঙ্গবন্ধুর হত্যার অভিযুক্ত রিসালদার মোসলেমউদ্দিনসহ হুজির বেশ কয়েকজন শীর্ষ নেতা যারা ভারতে লুকিয়ে আছেন তাদের ধরতে জোরদার অভিযান শুরু হচ্ছে।
কলকাতা থেকে প্রকাশিত দৈনিক প্রাত্যহিক খবরে এই বিষয়ে শনিবার প্রকাশিত প্রতিবেদনে ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের একটি সূত্রেত্র বরাত দিয়ে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের ব্যর্থ সেনা অভ্যুত্থানের খবর ডিসেম্বর মাসেই জানতে পেরেছিলেন তারা। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা তদন্তে নেমে জানতে পারেন, গত বছরের মাঝামাঝি সময় থেকেই এই অভ্যুত্থানের ছক কষা হয়।
’৭১ এর যুদ্ধপরাধীদের বিরুদ্ধে মামলা শুরু হওয়ায় তাদের বাঁচাতেই এই ছক কষা হয়। তাছাড়া বর্তমানে ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সর্ম্পকের কারণে ভারত বিরোধী কার্যক্রম চালানো অসম্ভব হয়ে পড়ছিল। তা বন্ধ করতেই শেখ হাসিনা সরকারকে উৎখাত করতে এ চক্রান্ত করা হয় পাকিস্তানি গুপ্তচর সংস্থা আইএসআই’র মদতে।
কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা জানতে পেরেছে, বাংলাদেশে নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন হিযবুত তাহরির, জেএমবি, জেএমজেবিকে নিয়ে এই ছক কষা হয়। বাংলাদেশের দুই মূল বিরোধীদল জামায়াত ও বিএনপির কয়েকজন নেতা এ ছক সর্ম্পকে অবহিত ছিলেন।
জামায়াতের শীর্ষ নেতা গোলাম আযমের বড় ছেলে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে বিগ্রেডিয়ার জেনারেল ছিলেন। তার মাধ্যমে নিষিদ্ধ জঙ্গিদের সেনাবাহিনীতে দীর্ঘদিন ধরেই রিক্রুট করা হয়েছিল। সেনাবাহিনীর মধ্যে লুকিয়ে থাকা সেই জঙ্গি সংগঠনের সদস্যদের এই অভ্যুত্থানের কাজে লাগানো হয়েছিল।
কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা আরো জানতে পেরেছে, বাংলাদেশের গোয়েন্দা সংস্থা এনএসআই ও ডিজিএফআই তা জানতে পেরে আগেই সরকারকে সর্তক করে দিয়েছিল। সেই সর্তকতাকে সেভাবে গুরুত্ব দেওয়া হয়নি।
বাংলাদেশ সময়: ১২৫৯ ঘন্টা, জানুয়ারি ২১, ২০১২