কলকাতা: বইমেলায় পাকিস্তানের সাবেক ক্রিকেট অধিনায়ক ও তেহরিক-ই-ইনসাফ দলের নেতা ইমরান খানের বক্তব্যের মাঝে সোমবার সন্ধ্যায় আলো বন্ধ করার ঘটনায় দুঃখপ্রকাশ করলো বইমেলা কর্তৃপক্ষ।
মঙ্গলবার আয়োজকদের সংগঠন কলকাতা পাবলিশার্স অ্যান্ড বুকসেলার্স গিল্ডের তরফ থেকে সাংবাদিক সম্মেলন করে নিজেদের ‘বালখিল্যপনা’র জন্য তারা ক্ষমা চাইলেন।
কলকাতা একটি বেসরকারি টিভি চ্যানেল আয়োজিত আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখতে কলকাতায় আসেন ইমরান খান। মেলা প্রাঙ্গণের ইউবিআই অডিটোরিয়ামে এর আয়োজন করা হয়। নির্ধারিত সময় পেরিয়ে যাওয়ার অভিযোগে তার বক্তব্য চলকালীন আলো বন্ধ করে দেওয়া হয়।
এদিন পাবলিশার্স অ্যান্ড বুকসেলার্স গিল্ডের সাধারণ সম্পাদক ত্রিদিব চট্টোপাধ্যায় জানান, ‘ঘটনার জন্য আমরা লজ্জিত, দুঃখিত ও ক্ষমাপ্রার্থী। এদিন সকালে ইমরান খানের কাছে গিয়ে গোটা ঘটনার জন্য আমরা ক্ষমা চেয়ে নিয়েছি। যদিও ইমরান গোটা বিষয়টিকে গুরুত্ব দিতে নারাজ। ’
তিনি বলেন, ‘ইমরান জানিয়েছেন, এত বড় একটি বইমেলার আয়োজন সত্যিই প্রশংসনীয়। কিছুক্ষণের জন্য বিদ্যুৎ বিভ্রাট এমন কোনো বিষয় নয়। আমাদের দেশে প্রতিদিন গড়ে ৯-১০ ঘন্টা লোডশোডিং হয়। ’
অথচ সোমবারই গিল্ডকর্তা ত্রিদিব চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন, ‘ইমরান খানকে ভিড়ের হাত থেকে রেহাই দিতেই আলো নিভিয়ে দেওয়া হয়েছিল ইচ্চাকৃতভাবে!’
যদিও আর এক গিল্ড কর্তা সুধাংশু শেখর দে অবশ্য অন্য কথা বলেন। তিনি বলেছিলেন, ‘আমি যতদূর জানি, এদিন তৃণমূল ভবনসহ দক্ষিণ কলকাতার একটি বড় অংশে বিদ্যুৎ ট্রিপ করে। এর ফলেই আলো নিভে গিয়েছিল। ত্রিদিব কী বলেছে, জানি না। ’
তবে এদিনও লোডশেডিং না ইচ্ছাকৃত আলো নেভানো, সে বিষয়ে খোলসা করে ত্রিদিব চট্টোপাধ্যায় কিছু বলতে চাননি। বার বার সাংবাদিকদের করা প্রশ্নের জবাব তিনি এড়িয়ে গিয়েছেন। তবে ইমরানের মত একজন আন্তর্জাতিক ব্যক্তিত্বের সভায় আলো নিভে যাওয়ার লজ্জা থেকে কী আদৌ বেড়োতে পারল গিল্ড কর্তারা। সেই প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ২২২৪ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৩১, ২০১২