কলকাতা: কলকাতায় দীর্ঘদিন ধরে লুকিয়ে থাকা মণিপুরের উগ্রপন্থি ধীরেন সিংকে (৩৭) গ্রেপ্তার করেছে কলকাতা পুলিসের স্পেশাল টাস্ক ফোর্স (এস টি এফ)। ধীরেন সিং মণিপুরের পিপল্স লিবারেশন আর্মি’র ‘ক্যাপ্টেন’ পদমর্যাদার জঙ্গি।
পশ্চিমবঙ্গে মাওবাদী, আসামের উলফা আর মণিপুরের লিবারেশন আর্মি এই তিনের যোগসূত্র হিসাবে কাজ করেছিল এই ধীরেন বলে জানতে পেরেছে পুলিশ।
সম্প্রতি আসাম থেকে প্রকাশিত একটি ইংরেজি দৈনিকে উলফা নেতা পরেশ বড়ুয়ার একটি সাক্ষাৎকার প্রকাশিত হয়।
এ সাক্ষাৎকারে পরেশ বড়ুয়া বলেন, ‘তাদের মাওবাদীদের সাথে ঘনিষ্ট সর্ম্পক আছে। মনিপুরি জঙ্গি ধীরেন গ্রেফতার হওয়ার পর তাকে জেরা করে পুলিশ নিশ্চিত হয়েছে পরেশ বড়ুয়ার দাবির সত্যতা।
কলকাতা পুলিশের একটি সুত্র জানিয়েছে, গত সোমবার ভোরে ধীরেন সিংকে গ্রেফতার করে এসটিএফ।
সুত্র আরো জানিয়েছে, তাকে জেরা করে জানা গেছে- সম্প্রতি জঙ্গলমহলে যৌথবাহিনীর সাথে সংর্ঘষে নিহত মাওবাদী নেতা কিষাণজীর সঙ্গে তার সরাসরি যোগাযোগ ছিল। রাজ্য সি আই ডি’র কাছেও ধীরেন সিংয়ের নাম রয়েছে। জঙ্গলমহলে সে ‘রঘু’ নামে দীর্ঘদিন মাওবাদীদের সঙ্গে কাজ করেছে বলে প্রাথমিক সন্দেহ রাজ্য সি আই ডি-র। ধীরেন সিং মাওবাদীদের অস্ত্র সরবরাহ করতো বলে জানা গেছে।
কলকাতার যাদবপুর এবং ওয়াটগঞ্জ থানা এলাকায় বিভিন্ন নাম নিয়ে বেশ কয়েকবার আত্মগোপনও করেছিল এই ‘রঘু’। ধীরেন সিং প্রকৃতপক্ষে আসামের বাসিন্দা। কাছাড় জেলার উদারবন্দ থানা এলাকার বাসিন্দা। তার বিরুদ্ধে আসামে একাধিক খুনের মামলাও রয়েছে। ২০০৯ সাল থেকেই ফেরার এই ধীরেন সিং। মণিপুর পুলিস তাকে একাধিক অস্ত্র মামলায় খুঁজছে।
তার কাছ থেকে ৩০টি তাজা বুলেট পাওয়া গেছে। এই বুলেট সাধারণত স্বয়ংক্রিয় রাইফেল একে-৪৭ এ ব্যবহৃত হয়। তবে ধীরেন সিংয়ের মতো উগ্রপন্থির কাছে আগ্নেয়াস্ত্র পাওয়া যায়নি বলে এস টি এফ সূত্রে দাবি করা হয়েছে।
কলকাতায় এস টি এফ-র যুগ্ম কমিশনার চঞ্চল কুমার দত্ত জানিয়েছেন, ধৃতকে আসাম পুলিস এবং মণিপুর পুলিস একযোগে খুঁজছিল।
বাংলাদেশ সময়: ১৮০০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৫, ২০১২