ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

দিল্লি, কলকাতা, আগরতলা

১৮১ দিন পর জামিনে মুক্ত সাবেকমন্ত্রী সুশান্ত ঘোষ

কলকাতা ব্যুরো | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৫৬ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৭, ২০১২
১৮১ দিন পর জামিনে মুক্ত সাবেকমন্ত্রী সুশান্ত ঘোষ

কলকাতা: সাবেক বামফ্রন্ট সরকারে পশ্চিমাঞ্চল উন্নয়নমন্ত্রী বর্তমানে গড়বেতার বিধায়ক সিপিএম নেতা সুশান্ত ঘোষ ১৮১ দিন পর জামিনে মুক্তি পেয়েছেন।

কলকাতার আলিপুর সেন্ট্রাল জেল থেকে মঙ্গলবার দুপুরে জামিনে মুক্তি পান।



এদিন তাকে স্বাগত জানাতে আলিপুর সেন্ট্রাল জেলে যান বিরোধী দলনেতা সূর্যকান্ত মিশ্র, সিপিআইএম নেতা রবীন দেব, অমিতাভ নন্দী, সুজন চক্রবর্তীসহ সিপিআইএমের বহু নেতা। সংশোধনাগারে যান তার স্ত্রী করুণা বন্দ্যোপাধ্যায়ও।

সুশান্ত ঘোষকে স্বাগত জানাতে সকাল থেকেই আলিপুর সংশোধনাগারে ভিড় করেন অসংখ্য বাম কর্মী ও সমর্থকেরা। ১৮১টি লাল গোলাপ দিয়ে তাকে জেল গেটের বাইরে স্বাগত জানানো হয়। এ সময় আরও হাজির ছিল সিপিএমের ছাত্র সংগঠন এসএফআইয়ের বহু নেতা ও ছাত্র।
 
সকালেই মেদিনীপুর আদালত থেকে তার জামিনে মুক্তির ছাড়পত্র তৈরি হয়ে যায়। জেল থেকে বেরিয়ে কলকাতার কিড স্ট্রিটে এমএলএ হোস্টেলে রওনা হন তিনি।

এর আগে শুক্রবার বেনাচাপড়া কঙ্কালকাণ্ডে অভিযুক্ত সুশান্ত ঘোষের জামিন মঞ্জুর করে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি আলতামাস কবির ও বিচারপতি জ্ঞানসুধা মিশ্রের ডিভিশন বেঞ্চ।

জামিন পেলেও, সুশান্ত ঘোষের গতিবিধিতে শর্ত আরোপ করেছে শীর্ষ আদালত। অঞ্চলের বিধায়ক হওয়ার জন্য গড়বেতা অঞ্চলে যাওয়ার অনুমতি মিললেও, পশ্চিম মেদিনীপুরের অন্যান্য অঞ্চলে যেতে পারবেন না তিনি। এছাড়াও, তদন্তকারী কর্মকর্তার কাছে মাসে একবার হাজিরা দিতে হবে তাকে।

২০১১ সালের ৯ জুন বেনাচাপড়া কঙ্কালকাণ্ডের তদন্তভার দেওয়া হয়েছিল সিআইডিকে। সিআইডির তদন্ত এবং ঘটনার অগ্রগতির ভিত্তিতে জুলাই মাসের শেষ সপ্তাহে কলকাতা হাইকোর্টে আগাম জামিনের আবেদন করেছিলেন বিধায়ক সুশান্ত ঘোষ। কলকাতা হাইকোর্ট সেই আবেদন গ্রহণ করে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে নিম্ন আদালতে হাজিরা দিতে বলেন তাকে।

২০১১ সালে ১১ অগস্ট মেদিনীপুর আদালতে হাজিরা দেন সুশান্ত ঘোষ। আদালতের নির্দেশে সেইদিনই তাকে সিআইডি হেফাজতে পাঠানো হয়। সিআইডি হেফাজতে থাকাকালীন অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। পরে তাকে ভর্তি করা হয়েছিল কলকাতার পিজি হাসপাতালে।

এরই মধ্যে, তার কলকাতার ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হওয়া ৫ লাখ রুপির ভিত্তিতে আলাদাভাবে একটি মামলা দায়ের করে কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ।

২০১১ সালের নভেম্বরে আলিপুর আদালতে সেই মামলায় সহজেই জামিন মিলে সুশান্ত ঘোষের। কিন্তু মেদিনীপুর আদালতে বেশ কয়েকবার আবেদন জানানো সত্ত্বেও বেনাচাপড়া কঙ্কালকাণ্ডে তার জামিন মেলেনি।

পরে ২৯ সেপ্টেম্বর হাইকোর্টেও তার জামিনের আবেদন নামঞ্জুর হয়। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা আদালতে বেনাচাপড়া কঙ্কালকাণ্ডের চার্জগঠন প্রক্রিয়া শুরু হবে ১৬ ফেব্রুয়ারি থেকে।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৪০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৭, ২০১২

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।