কলকাতা: পশ্চিমবঙ্গের বহরমপুর হোম থেকে পলাতক ৯ বাংলাদেশি কিশোরকে ধরতে সীমান্তে বিএসএফকে সর্তক করেছে রাজ্য প্রশাসন।
গত শুক্রবার গভীর রাতে গরুচোর সন্দেহে ধৃত ওই ৯ কিশোর বহরমপুরের সরকারি জুভেনাইল হোম আনন্দ আশ্রম থেকে পালিয়ে যায়।
এদের প্রত্যেকের বয়স ১২ থেকে ১৬ বছরের মধ্যে। পলাতক সুমন আলি, নয়ন আলি, কালু আলি, রবিউল ইসলাম, মিলন শেখ, সেলিম শেখ, জীবন ইসলাম, বিশ্বজিৎ বিশ্বাস ও খোরশেদ আলির বাড়ি বাংলাদেশের বিভিন্ন থানা এলাকায়।
এরা কেউ ৪ মাস, আবার কেউবা ২ বছর আগে বেআইনিভাবে সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে ঢুকে পড়লে তাদের গ্রেফতার করে বিএসএফ। এরা প্রত্যেকেই গরুর রাখালের কাজ করতো।
বয়স কম হওয়ার কারণে আদালতের নির্দেশে এরা থাকতো আনন্দ আশ্রম ভবনের দোতলার কক্ষে। এ কক্ষে মোট ১৭ জন থাকত। এর মধ্যে ১৩জনই বাংলাদেশি। এ ১৩ জনের মধ্যে ৯ জন শনিবার দিবাগত রাত ২ টা থেকে ভোর সাড়ে ৩টার মধ্যে হোমের লকাপের তালা ভেঙে, প্রাচীর টপকে পালিয়ে যায়।
ঘটনাটির সত্যতা স্বীকার করে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন অতিরিক্ত জেলাশাসক(উন্নয়ন) অজয় কুমার ঘোষ।
বহরুমপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন হোমের সুপার অনিন্দ্য নারায়ণ চৌধুরী।
জেলা পুলিশ সুপার হুমায়ুন কবীর বলেন, তদন্ত শুরু হয়েছে। তাদের খোঁজ চলছে। জেলার বিভিন্ন থানাসহ সীমান্তবর্তী থানাগুলোকে সর্তক করা হয়েছে। বিএসএফের কাছে পলাতকদের নামসহ পরিচয় পাঠানো হয়েছে।
প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, হোমটির নৈশ প্রহরী গোপাল কর্মকারের চরম অসর্তকতার কারণে এ ঘটনা ঘটেছে। যে ঘরে এরা ছিল, সেই ঘরের বাকিরা ভোর ৪ টার সময় দেখে তালা ভাঙা। এরপরই ঘটনাটি জানা যায়।
তবে এই প্রথম নয়, এর আগেও এখান থেকে পালানোর ঘটনা ঘটেছে। সুপারসহ কর্মীদের হাতে আবাসিকদের প্রহারের ঘটনায় প্রায়ই এ হোমে উত্তেজনা তৈরি হয়।
একটি সূত্র জানাচ্ছে, এই বাংলাদেশিদের যে ঘরটিতে রাখা হত, সেই ঘরটি সব সময় তালা বন্ধ থাকত। এদের দোতলা থেকে নিচে নামতে দেওয়া হতো না। ছিল খাবার নিয়ে সমস্যা। কিশোর বন্দিদের মধ্যে অবসাদ এসেছিল। সে কারণেই এ পালানোর ঘটনা।
বাংলাদেশ সময়: ১৬২৪ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১২, ২০১২