কলকাতা: পশ্চিমবঙ্গের গঙ্গার নদীর ওপর নির্মিত ফারাক্কা ব্যরেজের দুটি ভাঙা গেটের মেরামত চলছে।
ব্যারেজ সূত্রে জানা গেছে, আট মাস আগে একটি গেট ভেঙে যায়।
গেট দুটি মেরামত না হওয়ার কারণে বাংলাদেশে পানি বেশি চলে যাচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এনিয়ে প্রধানমন্ত্রী মনমোহনের কাছে নালিশ করেছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি এরই মধ্যে।
ভারত-বাংলাদেশ গঙ্গার পানি চুক্তি অনুসারে ১ জানুয়ারি থেকে ৩১ মে পর্যন্ত এই ৫ মাস ১০ দিন বাংলাদেশ পাবে ৬০ শতাংশ ও বাকি ৪০ শতাংশ পানি পাবে পশ্চিমবঙ্গ। পরের দিন ৬০ শতাংশ পশ্চিমবঙ্গ ও ৪০ শতাংশ পানি পাবে বাংলাদেশ। এই ভাবে ৫ মাস চলবে।
এই ৫ মাস দু’দেশের যৌথ নদী কমিশনের প্রতিনিধিরা পানি বণ্টন পর্যবেক্ষণ করেন।
সূত্র মতে, ২০১১ সালের জুলাই মাসে ১৩ নম্বর লকগেট ভেঙে যায়, যা মেরামত না হতেই ১৬ নম্বর লকগেটটিও ভেঙে যায়। এর ফলে বাড়তি ৮ থেকে ১৬ হাজার কিউসেক পানি বেরিয়ে যাচ্ছে।
ফারাক্কা ব্যারেজের মহাব্যবস্থাপক (জিএম) অরুণ কুমার সিংহ বাংলানিউজকে বলেছেন, দুটি গেট মেরামত শুরু হয়েছে। আশা করা যাচ্ছে, এই মাসেই শেষ করা যাবে। যতক্ষণ না কাজ শেষ হবে ততদিন এভাবেই পানি বের হয়ে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, ৪০ বছরের পুরানো এই ব্যারেজের মোট ১০৯টি ব্যারেজের লকগেটের মধ্যে বেশ কিছু গেটের অবস্থা খুবই খারাপ। ইতিমধ্যেই ছয়টি গেট তৈরি করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এর জন্য ব্যয় হবে ৬ থেকে ৭ কোটি রুপি। প্রতিটি গেটের ওজন ৪০ টন। এই গেটগুলো বিশেষ ভাবে তৈরি।
তিনি আরও জানিয়েছেন, ব্যারেজের ১০৯টি গেট কী অবস্থায় আছে তার জন্য সমীক্ষা চালানো হচ্ছে।
ভারতের পানি সম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রণালয়ের কাছে একটি প্রস্তাব পাঠিয়ে বলা হয়েছে, প্রায় চার কিলোমিটার এলাকা জুড়ে ১০৯টি লকগেটের অবিলম্বে সংস্কার করার প্রয়োজন। তা না হলে যে কোনো সময় বড় ধরনের বিপদ হতে পারে। একেকটি লকগেট তৈরি করতে কমপক্ষে ১ কোটি রুপি লাগবে। তবে সব গেটই সংস্কার করার দরকার নেই বলে জানিয়েছেন ব্যারেজের প্রকৌশলীরা।
ভারতীয় সময়: ১৩৫৪ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৪, ২০১২