আগরতলা (ত্রিপুরা) : বাংলাদেশের সাহিত্যিক মহম্মদ নরুল হুদাকে সম্মানিত করল ত্রিপুরা সরকার।
মঙ্গলবার আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে তিন কবি সাহিত্যিককে ভাষাসম্মান জানায় রাজ্য সরকার।
এদিন সন্ধ্যা ৭টায় স্থানীয় নজরুল কলাক্ষেত্রের আনন্দ প্রেক্ষাগৃহে এ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে নরুল হুদার হাতে স্মারক উপহার তুলে দেন ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকার।
সম্মাননার জবাবে নরুল হুদা বলেন, ত্রিপুরার মানুষের কাছে আমি কৃতজ্ঞ। আগরতলার সঙ্গে আমাদের নিবিড় সম্পর্ক মুক্তিযুদ্ধের সময় থেকেই।
২১ ফেব্রুয়ারি সম্পর্কে নরুল হুদা বলেন, একুশ আমাদের অহঙ্কার। একুশ আমাদের গর্ব। আমার ভাষাভিত্তিক রাষ্ট্র চেয়েছিলাম। ভাষার আন্দোলন আমাদের স্বাধিকার দিয়েছে।
এদিন ২১-১৯ ভাষাসম্মানে ভূষিত করা হয় ত্রিপুরার কবি কল্যাণব্রত চক্রবর্তীকেও। তিনি বলেন, পুঁজিবাদী বিশ্বায়ন চাইছে, এক বাজার, এক সংস্কৃতি ও এক ভাষা চালু করতে। তারা আমাদের মুখের ভাষা কেড়ে নিতে চাইছে। এর বিরুদ্ধে আমাদের প্রতিরোধ গড়তে হবে।
মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকার অনুষ্ঠানে বলেন, সব ভাষার বিকাশ চাই আমরা। ভাষার মধ্যে কোনো ছোট-বড় ভেদ নেই। সব ভাষাই সমান।
মানিক সরকার বলেন, আমরা চাই সব ভাষাকে সমান গুরুত্ব দিতে। এই লক্ষ্য নিয়ে কাজ করছে ত্রিপুরার সরকার।
অনুষ্ঠানে সভাপতি ছিলেন তথ্য সংস্কৃতি মন্ত্রী অনিল সরকার।
এদিন আসামের মহিলা কবি অনুরূপা বিশ্বাসকেও সম্মান জানানোর কথা ছিল। কিন্তু তিনি আসতে পারেননি।
অনুষ্ঠানে মঞ্চে মহম্মদ নরুল হুদা তার লেখা কিছু বই মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকার এবং মন্ত্রী অনিল সরকারের হাতে তুলে দেন শুভেচ্ছা স্মারক হিসেবে।
এর পর হয় মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
এদিন বিদ্যালয় শিক্ষা দফতরের উদ্যোগে দুপুরেও স্কুলের ছাত্রছাত্রীদের নিয়ে অনুষ্ঠান হয়েছে। রাজ্যের প্রতিটি সীমান্ত এলাকায় বিপুল উৎসাহ ও উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে এই দিনটি পালন করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময় : ০১২৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২২, ২০১২