ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

দিল্লি, কলকাতা, আগরতলা

চা পাতা তোলা শুরু হয়েছে ত্রিপুরায়

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৫৪ ঘণ্টা, মার্চ ১৩, ২০২২
চা পাতা তোলা শুরু হয়েছে ত্রিপুরায়

আগরতলা (ত্রিপুরা): শীত মৌসুমে চা পাতা তোলা বন্ধ থাকার পর মার্চ মাস থেকে ত্রিপুরার দুর্গাবাড়ী টি এস্টেট ওয়ার্কার্স কো-অপারেটিভ সোসাইটি পরিচালিত বাগানে কাঁচা পাতা তোলার কাজ শুরু হয়েছে। এতে চা বাগানগুলোতে শুরু হয়েছে কর্মব্যস্ততা।

গত দুই মাস অলস অবস্থায় থাকার পর আবার যেন জেগে উঠেছে চা প্রক্রিয়াকরণ কেন্দ্রের মেশিনগুলো।

দুর্গাবাড়ী চা বাগানে শুষ্ক মৌসুমে পানি সেচ দেওয়ার ব্যবস্থা থাকায় মার্চের শুরু থেকেই চা পাতা তোলা সম্ভব হচ্ছে বলে জানিয়েছেন কো-অপারেটিভ সোসাইটির প্রধান উপদেষ্টা গোপাল চক্রবর্তী।

তিনি বলেন, বর্তমানে তুলনামূলকভাবে চা পাতার পরিমাণ কম তাই দুই থেকে তিনদিন পাতা সংগ্রহ করার পর কারখানায় প্রক্রিয়াজাত করা হচ্ছে। এখন দৈনিক গড়ে ২৫০ থেকে ৩০০ কেজি কাঁচাপাতা কারখানায় আসছে। মে ও জুন মাসে ভারী বৃষ্টিপাতের পর কারখানা পুরোপুরি চালু হবে। তখন দৈনিক ছয় থেকে সাত হাজার কেজি কাঁচা চা পাতা কারখানায় আসবে। তখন তিন শিফটে চলবে চা প্রক্রিয়াজাত করণের কাজ।

তিনি বলেন, গত বছরের ডিসেম্বরে ও চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে কিছুটা বৃষ্টি হয়েছে। ফলে যেসব বাগানে কৃত্রিমভাবে পানি সেচের ব্যবস্থা নেই সেগুলোতে চা পাতা তোলার কাজ শুরু হয়েছে।

বৃষ্টি না হলে যেসব বাগানের গাছ প্রুনিং (গাছের সব পাতা ছাঁটাই ও নতুন পাতা উপাদানের জন্য পরিচর্যা) করা হয়েছে সেগুলোর ডালের অগ্রভাগ শুকিয়ে যায় ও কুঁড়ি বের না হওয়ার আশঙ্কা থাকে। চা-বাগানের ভাষায় যাকে ‘ডট’ বলা হয়। এছাড়া বৃষ্টিপাত হলে চা-বাগানে লাল মাকড়শা কম দেখা যায়।

তিনি আরও বলেন, চা পাতার গুণগত মান যাতে আরও বাড়ানো যায় এজন্য সোসাইটির তরফ থেকে কিছু সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি ক্ষুদ্র চা-চাষিদের সঙ্গে বৈঠক করে তাদের সিদ্ধান্ত জানানো হয়েছে।

গোপাল চক্রবর্তী বলেন, বাগান থেকে যদি বড় আকারের কচি দুটি পাতা ও একটি কুঁড়ি সংগ্রহ করা সম্ভব হয় তাহলে প্রক্রিয়াজাত চায়ের গুণমান ভালো হয়। তাই বাগানের স্থায়ী পাতা সংগ্রহকারী শ্রমিকদের পাশাপাশি ক্ষুদ্র চা-চাষিদের বলা হয়েছে তারা যেন বড় পাতা বাদ দিয়ে দুটি পাতা ও একটি কুঁড়ি সংগ্রহ করে। বাগানে একবার পাতা তোলার সাতদিন পর আবার পাতা তোলা হলে গুণগত মান বজায় রাখা সম্ভব। তাই ক্ষুদ্র চা চাষিদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে সপ্তাহে যেন একদিন পাতা তোলা হয়। তবে গুণগত মান বজায় রাখার জন্য সোসাইটি কাঁচা পাতার মূল্য কিছুটা বাড়াবে।

আগামী কয়েকদিনের মধ্যে আবার বৈঠক করে কাঁচা পাতার মূল্য নির্ধারণ করা হবে বলে জানিয়েছেন কো-অপারেটিভ সোসাইটির প্রধান উপদেষ্টা গোপাল চক্রবর্তী।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৫৪ ঘণ্টা, মার্চ ১৩, ২০২২
এসসিএন/আরআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।