কলকাতা: হরতালের সকালে মঙ্গলবার মহাকরণে বিভিন্ন দফতর ঘুরে দেখেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। এ সময় তিনি কর্মীদের সঙ্গে কথাও বলেন।
এদিন সকাল ১০টা ৩৫ মিনিটে মহাকরণে আসেন তিনি। এরপর ১১টা নাগাদ নিজের কক্ষ থেকে বেরিয়ে প্রথমে তিনি যান ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প দফতরে, তার পর স্বরাষ্ট্র ও পুলিশ দফতর, আইন দফতর, শ্রম দফতর হয়ে তিনি মুখ্যমন্ত্রীর সচিবালয় বিভাগেও যান।
এছাড়াও মহাকরণের অন্যান্য বিভাগ পরিদর্শনে যান মুখ্যমন্ত্রী। তার সঙ্গে ছিলেন পঞ্চায়েতমন্ত্রী সুব্রত মুখার্জি।
প্রথম থেকেই বাম শ্রমিক সংগঠনগুলোর হরতাল নিয়ে কড়া অবস্থান নিয়েছে রাজ্য সরকার। বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানানো হয়েছে, এদিন অনুপস্থিত থাকলে ছেদ পড়বে চাকরিতে। তারপরেও খোদ মহাকরণে ধমর্ঘটের দিন উপস্থিতির হার কত?
মহাকরণ সূত্রে জানানো হয়েছে, এ বিষয়ে এখনও চূড়ান্ত তথ্য পাওয়া যায়নি।
এদিন সকাল থেকে শহর কলকাতার বুকে অন্য রকম ছবি দেখা গিয়েছিল। তবে বেলা বাড়ার সঙ্গে শহরের চেহারাটা কিছুটা হলেও বদলাতে থাকে।
নিত্য যাত্রীদের ভোর বেলা গন্তব্যে তাড়াতাড়ি পৌঁছতে দেখা গেলেও বেলা গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গেই পাল্টে যায় চেহারা। প্রধান সড়কে পর্যাপ্ত সরকারি বেসরকারি বাস থাকলেও তুলনায় আরোহীর সংখ্যা ছিল অনেকটাই কম।
এদিকে হরতালে পথে বেরিয়ে হরতালপন্থিদের আক্রোশ থেকে মাথা বাঁচাতে হেলমেট পরে বাস চালাতে দেখা গিয়েছে বেশ কয়েক জন বাসচালককে।
সকাল সাড়ে আটটা নাগাদ যাদবপুরে একটি বেসরকারি ব্যাঙ্কের এটিএম বন্ধ করার চেষ্টা করা হলে হরতাল সমর্থকদের সঙ্গে সংঘর্ষ হয় বিরোধীদের। এ ঘটনায় গ্রেফতার করা হয়েছে ২ জনকে।
হরতাল পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে রাস্তায় নেমেছেন পরিবহণ মন্ত্রী মদন মিত্র।
শিয়ালদা স্টেশনে গিয়ে যাত্রীদের সঙ্গেও কথা বলেন তিনি। রাস্তায় নেমেছেন কলকাতার পুলিশ কমিশনার রঞ্জিত কুমার পচনন্দাও। তিনি ঘুরে দেখেন শহরের বিভিন্ন এলাকা।
হাওড়া স্টেশন থেকে রেল চলাচল প্রায় স্বাভাবিক থাকলেও শিয়ালদা শাখায় রেল চলাচল সামান্য হলেও ব্যাহত হয়েছে। বেশ কয়েকটি জায়গায় রেললাইনের ওভারহেড তারে হরতাল সমর্থকরা কলাপাতা ফেলে দেওয়ায় বিঘ্নিত হয়েছে রেল পরিষেবা।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৪৪ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৮, ২০১২