কলকাতা: হরতালকে কেন্দ্র করে মঙ্গলবার সিপিএম-তৃণমূলের সংঘর্ষে উত্তাল হয়ে উঠে কলকাতার রাজারহাট। ছিনতাই হয়েছে পুলিশের একটি রিভালবারও।
এদিন, রাজারহাটের একটি স্কুল জোর করে বন্ধ করে দেয় সিপিএমের কর্মী ও সমর্থকরা। এছাড়া শিক্ষকদের বের করে স্কুলে তালা লাগিয়ে দেয়।
স্কুল খুলতে ঘটনাস্থলে তৃণমূলের কর্মী-সমর্থকরা পৌঁছলেই দু’পক্ষের মধ্যে হাতাহাতি শুরু হয়ে যায়। দুপক্ষই একে অপরকে লক্ষ্য করে ইটবৃষ্টি শুরু করে।
কিছুক্ষণের মধ্যেই লোকজন নিয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছেন সিপিএম নেতা তথা রাজারহাট-গোপালপুর পৌরসভার চেয়ারম্যান তাপস চট্টোপাধ্যায়। আসেন রাজারহাটের তৃণমূল বিধায়ক সব্যসাচী দত্ত-ও।
এসময় সব্যসাচীর নিরাপত্তা রক্ষীর কাছ থেকে রিভলভার ছিনতাই করে নেয় সিপিএমের লোকজন বলেও অভিযোগ পাওয়া গেছে। এরপর বেশ কয়েক রাউন্ড গুলিও চলে। ঘটনাস্থলে পৌঁছান বিধাননগরের কমিশনার রাজীব কুমারের নেতৃত্বে বিশাল পুলিশ বাহিনী।
দু’পক্ষেরই বেশ কয়েকজনকে এরইমধ্যে গ্রেফতার করা হয়েছে।
পুলিশ কর্মীর খোওয়া যাওয়া রিভলবারটির খোঁজ চলছে। এ জন্য এলাকাজুড়ে চলছে তল্লাশি।
রাজারহাটের চেয়ারম্যান তাপস চট্টোপাধ্যায়ের বাড়ি ভিতর থেকে বন্ধ করে রাখা হয়।
তৃণমূল কর্মী-সমর্থকদের অভিযোগ, সেখানেই রিভলবারটি লুকিয়ে রাখা হয়েছে এবং সেখানেই সিপিএমের দুষ্কৃতীদের আশ্রয় দেওয়া হয়েছে। এই অভিযোগ অবশ্য উড়য়ে দিয়েছেন তিনি।
পুলিশ তার বাড়িটিকে ঘিরে রাখে। একে অপরের দিকে অভিযোগের আঙুল তুলেছেন সব্যসাচী দত্ত ও তাপস চট্টোপাধ্যায়। সব্যসাচীর অভিযোগ, আগে থেকেই অস্ত্র ও দুষ্কৃতী পাড়ায় নিয়ে আসেন তাপস চট্টোপাধ্যায়।
তাপস চট্টোপাধ্যায়ের পাল্টা অভিযোগ, পুলিশ ও তৃণমূল সংগঠিত ভাবেই এ কাজ করেছে।
ভারতীয় সময়: ১৯৩০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৮, ২০১২