আগরতলা (ত্রিপুরা): ‘ত্রিপুরায় জ্বালানি তেল এবং সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে প্রয়োজনে প্রতিবেশী রাষ্ট্র বাংলাদেশের ওপর দিয়ে নিত্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী রাজ্যে আনা হবে। ’
ত্রিপুরা সরকারের খাদ্য এবং জনসংভরণ দপ্তরের মন্ত্রী মনোজ কান্তি দেব আগরতলায় একথা জানিয়েছেন।
ভারী বৃষ্টির কারণে ত্রিপুরা মিজোরাম মনিপুর এবং আসামের দক্ষিণাঞ্চলের সঙ্গে ভারতের অন্য প্রদেশের রেল যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। পুনরায় রেল যোগাযোগ স্বাভাবিক হতে আরও প্রায় দেড় মাস সময় লাগবে বলে রেল মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে। একইভাবে জাতীয় সড়কের বিভিন্ন জায়গায় ভূমিধসের কারণে মাঝে মধ্যেই যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হচ্ছে। এই অবস্থায় ত্রিপুরা রাজ্যে জ্বালানি তেলের মজুদ তলানিতে আসছে।
পরিস্থিতি বিবেচনা করে রাজ্য সরকার পেট্রোল এবং ডিজেলের বিক্রির ওপর রেশনিং ব্যবস্থা চালু করতে বাধ্য হয়েছে। পেট্রোপণ্যের রেশনিং ব্যবস্থা চালু হওয়ায় জনসাধারণের মধ্যে আতঙ্কের সৃষ্টি হয়েছে। তাই বাজারগুলিতেও নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য সামগ্রীর দাম অনেকটাই বৃদ্ধি পেয়েছে। এই অবস্থায় দাঁড়িয়ে রাজ্যের খাদ্য এবং জনসংভরণ দপ্তরের মন্ত্রী মনোজ কান্তি দেব জানান অযথা আতঙ্কিত হওয়ার কোনো কারণ নেই।
রাজ্যে চাল, গম চিনি লবণসহ অন্য নিত্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী এই মুহূর্তে প্রায় ৩২ দিনের মজুদ রয়েছে। রাজ্যের ডিজেল রেলযোগে আসতো। এখন তা সম্ভব না হওয়ায় শিলচর থেকে ডিজেল আনা হচ্ছে এবং গৌহাটি থেকে পেট্রোল আনা হচ্ছে। জাতীয় সড়ক দিয়ে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য সামগ্রী বোঝাই গাড়িগুলির চলাচল শুরু হয়েছে বলেও জানান মন্ত্রী।
মন্ত্রী মনোজ কান্তি দেব আর জানান প্রয়োজনে রাজ্যের ঊনকোটি জেলার কৈলাশহরের ওপর দিয়ে বাংলাদেশের মধ্য দিয়ে পেট্রোল ডিজেল ও নিত্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী রাজ্যে আনা হবে। যদিও বিষয়টি নিয়ে এখন পর্যন্ত কোনো ধরনের উদ্যোগ গ্রহণের প্রয়োজনীয়তা দেখা দেয়নি বলেও জানিয়েছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১০০৯ ঘণ্টা, মে ২১, ২০২২
এনটি