নয়াদিল্লি: ভোট পরবর্তী রাজনৈতিক হিংসায় অশান্ত হয়ে উঠছে উত্তরপ্রদেশ।
উত্তরপ্রদেশের সীতাপুর জেলার একটি গ্রামে তাণ্ডব চালানোর অভিযোগ উঠেছে সমাজবাদী পার্টির বিরুদ্ধে।
অন্যদিকে আম্বেদকরনগরে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন এসপি এবং বিএসপি সমর্থকেরা। বিএসপির প্রাক্তন এক মন্ত্রীর ছেলে গুলি চালানোতেই সংঘর্ষের সূত্রপাত বলে অভিযোগ এসপি কর্মীদের।
কিছুদিন আগেই উত্তরপ্রদেশের সীতাপুর জেলার রেওসা এলাকার বাম্বিয়া গ্রামের দলিত মহল্লায় গিয়েছিলেন রাহুল গান্ধী। সে সময় তিনি এলাকাবাসীর থেকে উষ্ণ অভ্যর্থনা পেয়েছিলেন।
আর সেই আক্রোশ থেকেই ভোটের ফল বের হওয়ার পর গ্রামের বহু বাড়ি সমাজবাদী পার্টি কর্মীরা জ্বালিয়ে দেন বলে অভিযোগ। বহু গ্রামবাসীকে মারধর করারও অভিযোগ উঠেছে এসপির বিরুদ্ধে।
এই ঘটনায় জড়িত সন্দেহে ১২ জনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন রেওসার স্টেশন অফিসার প্রমোদ শুক্লা।
এর আগে ভোটের ফল প্রকাশের পর সম্ভলে সমাজবাদী কর্মীদের গুলিতে মৃত্যু হয়েছিল এক কিশোরের।
আগ্রায় বিরোধী দলের সমর্থকদের ওপর হামলারও অভিযোগ উঠেছে সপার সমর্থকদের বিরুদ্ধে।
এ পরিস্থিতিতে উত্তরপ্রদেশের ভোট পরবর্তী সহিংসতা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে কংগ্রেস। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শ্রীপ্রকাশ জওসওয়ালের অভিযোগ, অখিলেশ যাদব গুণ্ডারাজের অবসানের অঙ্গীকার করলেও কার্যক্ষেত্রে উল্টো আচরণ করছেন সপা`র স্থানীয় স্তরের নেতারা।
অন্যদিকে, উত্তরপ্রদেশের আম্বেদকর নগরে বৃহস্পতিবার বিকেলে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন সমাজবাদী পার্টি এবং বিএসপির সমর্থকরা। বিএসপির প্রাক্তন মন্ত্রী রামঅাঁচল রাজভরের ছেলেই প্রথমে এসপি কর্মীদের ওপরে গুলি চালান বলে অভিযোগ উঠেছে।
পাল্টা হামলা চালান সমাজবাদী পার্টি কর্মীরাও। এরপর মারমুখী সপা কর্মীদের দাপটে বিএসপি সমর্থকরা পিছু হটলে রাজভরের চালকল জ্বালিয়ে দেওয়া হয়।
যদিও সমাজবাদী পার্টির রাজ্য সভাপতি অখিলেশ যাদব তার দলের কর্মীদের বিরুদ্ধে ‘গুণ্ডারাজ’ কায়েমের চেষ্টার কথা স্বীকার করেননি। তার পাল্টা অভিযোগ, সপাকে হেয় করতেই রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে অশান্তি সৃষ্টি করা হচ্ছে।
গত ৬ মার্চ বিধানসভা নির্বাচনের ফল ঘোষণার পর থেকে উত্তরপ্রদেশের বিভিন্ন প্রান্তে শুরু হওয়া রাজনৈতিক সহিংসতা ঠেকাতে নতুন সরকার সক্রিয়তা দেখাবে দাবি করে মুলায়ম-পুত্র বলেন, আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখতে প্রয়োজনে কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬০০ ঘণ্টা, মার্চ ০৯, ২০১২