কলকাতা: বাম শ্রমিক সংগঠনগুলোর ডাকা হরতালে রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের মতো অনুপস্থিত থাকার জন্য এবার সরকার অনুমোদিত স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষিকারাও শাস্তির কবলে।
শুক্রবার রাজ্য শিক্ষা দফতরের পক্ষ থেকে জেলা স্কুল পরিদর্শকদের এই বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
সরকারি নির্দেশিকা অনুযায়ী, ২৮শে ফেব্রুয়ারি ধর্মঘটের দিন স্কুলের যে সব শিক্ষক-শিক্ষিকা ও অশিক্ষক কর্মচারী অনুপস্থিত ছিলেন তাদের একদিনের বেতন কেটে নেওয়ার পাশাপাশি চাকরি জীবনের সংখ্যা একদিন কমে যাবে।
এদিন স্কুল শিক্ষা সচিব জানান, সরকারি স্কুল না হলেও সরকারি অনুমোদনপ্রাপ্ত এই স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকা ও কর্মচারীদের মাইনে ও পেনশন দেয় রাজ্য সরকার। ফলে রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের মতো এদের উপরও এই নির্দেশিকা প্রযুক্ত হবে। স্কুল পরিচালনা কমিটির মাধ্যমে তাদের প্রথমে শোকজ করা হবে। উপযুক্ত কারণ দর্শাতে না পারলে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
স্কুল শিক্ষা সচিব আরো জানান, জেলা স্কুল পরিদর্শকদের এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এসব স্কুল শিক্ষকদের নিয়োগ কর্তা সরকার না হওয়ায় এদের নিয়োগ আধিকারিক পরিচালনা কমিটিই প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবে।
বর্তমানে সরকারি অনুমোদনপ্রাপ্ত এই স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকা ও কর্মচারীর সংখ্যা প্রায় সাড়ে ৩ লক্ষ।
দুদিন আগেই এক সরকারি নির্দেশিকায় জানানো হয়েছে, ধর্মঘটের দিন যথাপোযুক্ত কারণ ছাড়া অনুপস্থিত থাকলে সরকারি কর্মচারীদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা হিসাবে একদিনের বেতন কেটে নেওয়ার পাশাপাশি চাকরি জীবনে একদিন কমে যাবে।
স্কুল শিক্ষা দফতরের এই ব্যবস্থামত কলেজের ক্ষেত্রেও একই ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য কলেজ পরিচালকমন্ডলী ও বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের সরকারের তরফ থেকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
বর্তমানে কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক-অধ্যাপিকার সংখ্যা যথাক্রমে প্রায় ১২ হাজার ও ২ হাজার ৫০ জন।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৪৫ ঘণ্টা, মার্চ ০৯, ২০১২