শিলিগুড়ি : ভুটানী নোট নিয়ে প্রবল সমস্যায় পড়েছেন জলপাইগুড়ি জেলার আলিপুরদুয়ার শহর ও ভুটান সীমান্ত সংলগ্ন অঞ্চলের মানুষ।
এসব অঞ্চলে অবাধে ভুটানের টাকা চলতো।
এর ফলে গোটা এলাকায় ব্যবসা-বাণিজ্যে লেনদেনের ক্ষেত্রে একটা অস্বাভাবিক অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। ভারত ও ভুটান সীমান্তে ব্যবসা-বাণিজ্য অবাধ হওয়ার কারণে দু’দেশের টাকা উভয় দেশেই চলতো। কিন্তু এই লেনদেন বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বাজারে তার বিরাট প্রভাব পড়েছে।
জেলার কামাখ্যাগুড়ি, বারোভিষা, হাসিমারা, ফালাকাটা, বীরপাড়া প্রভৃতি বাজারে এর ব্যাপক প্রভাব পড়েছে। ব্যবসা-বাণিজ্যে মন্দা শুরু হয়েছে। সব থেকে অসুবিধার মধ্যে পড়েছেন শ্রমজীবী মানুষ। এদের বেশিরভাগ অংশের হাতেই ভুটানী নোট।
অন্যদিকে, কিছু বড় ব্যবসায়ী ভুটানের ১০০ টাকার নোট ভারতীয় মুদ্রায় কম দাম দিয়ে অধিক মুনাফার আশায় কিনে রেখেছিলেন। তারাও বিপাকে পড়েছেন। যে সমস্ত ভারতীয় ভুটান ব্যাঙ্কে টাকা গচ্ছিত রয়েছে তারাও চিন্তিত। ওই টাকা আদৌও ফেরত পাওয়া যাবে কি না তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে।
এদিকে, ভুটানের ব্যাঙ্ক থেকে টাকা তোলারও কোনো উপায় নেই। কারণ, ভুটান সরকার ভারতীয়দের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট সিল করে দিয়েছে।
ভুটান সীমান্ত সংলগ্ন জয়গার মার্চেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক রামশঙ্কর গুপ্ত জানান, এ অঞ্চলের ভারতীয় ব্যবসায়ীরা ভুটানের উপর অনেকটাই নির্ভরশীল। ফলে আচমকা ভুটানী নোটের ব্যবহার বন্ধের নির্দেশে একটা মারাত্মক সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে। অবিলম্বে প্রশাসনের বিষয়টি নিয়ে ভাবা উচিত।
জলপাইগুড়ির জেলা শাসক স্মারকী মহাপাত্র জানান, ভুটানে ভারতীয় ব্যবসায়ীদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট সিল করে দেওয়ার কথা শুনেছি। ফলে ভারত-ভুটান সীমান্তবর্তী এলাকায় ব্যবসা-বাণিজ্যের উপরেও তার প্রভাব পড়েছে। এ বিষয়ে খোঁজখবর নেওয়ার জন্য ফুন্টসিলিঙে ভারতীয় কনসাল জেনারেলকে অনুরোধ করা হয়েছে।
যাই হোক না কেন, ভুটান সরকারের এই নির্দেশের পরিপ্রেক্ষিতে ডুয়ার্সের একটা বিরাট এলাকাজুড়ে অর্থনীতির ক্ষেত্রে বড় প্রভাব পড়েছে। গত কয়েকদিনেই ব্যবসা-বাণিজ্যের গতি অনেকটাই নিম্নমুখী।
বাংলাদেশ সময় : ১২১০ ঘণ্টা, মার্চ ১৭, ২০১২
প্রতিবেদন : রক্তিম দাশ, সম্পাদনা : জাকারিয়া মন্ডল, অ্যাসিসট্যান্ট আউটপুট এডিটর