কলকাতা: বাংলাদেশি ডাকাত ও জঙ্গিদের ভারতে জলসীমায় অনুপ্রবেশ রুখতে পশ্চিমবঙ্গের সুন্দরবনে আরো ৫টি উপকূল থানা তৈরি করা হচ্ছে। সেই সঙ্গে ৩টি উপকূল থানার অবকাঠামো উন্নয়ন করা হচ্ছে।
রাজ্য প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, বর্তমানে রাজ্যে ৩টি উপকূল থানা রয়েছে। এগুলো হচ্ছে সুন্দরবনের ছোট্টমোল্লাখালির, নামখানার ফ্রেজারগঞ্জ ও কুলতলীর মইপীঠ। তবে এ ৩টি থানারই অবকাঠামোর অভাব রয়েছে।
থানার পুলিশকর্মীদের অভিযোগ, নামেই থানা, আসলে তারা কোনো কাজই করতে পারেন না। থানায় থাকা স্পিডবোডগুলো রুটিন টহল দেওয়ার জন্য প্রতিদিন ব্যবহার করা হয় না। পানিতে নামলেও কিছু দূর গিয়ে ফিরে আসে।
কারণ, বাংলাদেশি ডাকাতদের তাড়া করতে গেলে যে পরিমাণ জ্বালানি তেলের দরকার তা থানা থেকে দেওয়া হয় না। ফলে মাসের পর মাস তেলের অভাবে স্পিডবোটগুলো সব অকেজো হয়ে পড়ে আছে।
এ থানাগুলোর কর্মীরা বেশিরভাগ সময়ই পানিতে থাকেন না। তাদের থানায় থাকতে হয়। এর ফলে বিস্তীর্ণ উপকূল প্রায় অরক্ষিত অবস্থায় পড়ে থাকে।
এই অভিযোগ পেয়ে গত শুক্রবার রাজ্য পুলিশের আইজি দক্ষিণবঙ্গ মিহির ভট্টাচার্য ফ্রেঞ্জারগঞ্জ উপকূল থানা পরিদর্শনে আসেন। তিনি থানায় রাখা স্পিডবোটগুলোর অবস্থাও দেখেন।
এ সময় তিনি আশ্বাস দেন, থানাগুলোর অবকাঠামো উন্নয়ন করা হবে। এদিন আরো নতুন ৫টি থানা করার ঘোষণা দেন তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ১১৫৫ ঘণ্টা, মার্চ ১৯, ২০১২
আরডি
সম্পাদনা: আবু হাসান শাহীন, নিউজরুম এডিটর