কলকাতা: দীনেশ ত্রিবেদীর পদত্যাগের কয়েকঘণ্টার মধ্যেই রাজ্যসভা নির্বাচনে প্রার্থী ঘোষণা করলো কংগ্রেস।
শনিবার শেষ দিনে মনোনয়নপত্র তুলেছিলেন কংগ্রেস নেত্রী শুভ্রা ঘোষ।
কংগ্রেসের দাবিকে কার্যত আমলে না নিয়ে, শুক্রবার ৪টি আসনে প্রার্থীর নাম ঘোষণা করে তৃণমূল।
কেন্দ্রীয় জাহাজ প্রতিমন্ত্রী মুকুল রায়সহ ৩ জন সংবাদমাধ্যম ব্যক্তিত্বের নাম রয়েছে নাম রয়েছে তৃণমূলের প্রার্থী তালিকায়। এরা হচ্ছেন- কুণাল ঘোষ, মহম্মদ নাদিমুল আকবর এবং বিবেক গুপ্তা।
তৃণমূল কংগ্রেসের এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানিয়ে শুক্রবার রাতে সোনিয়া গান্ধীর সঙ্গে দিল্লিতে দেখা করেছেন প্রদীপ ভট্টাচার্য। প্রণব মুখার্জির সঙ্গেও কথা হয়েছে তার।
রাজ্যসভায় পশ্চিমবঙ্গ থেকে ৫টি আসন রয়েছে। বিধায়ক সংখ্যার নিরিখে তৃণমূলের ৩টি ও বামেদের একটি আসন পাওয়ার কথা। সমস্যা সৃষ্টি হয় চতুর্থ আসনটি নিয়ে।
কারণ ৩ জনকে নির্বাচিত করার পর চতুর্থ প্রার্থীকে জেতানোর জন্য প্রয়োজনীয় ৪৯টি ভোট তৃণমূলের হাতে নেই।
বরং ৩টি আসনের প্রার্থীদের জেতানোর পর তৃণমূলের হাতে থাকা অতিরিক্ত ভোটের তুলনায় কংগ্রেসের বিধায়ক সংখ্যা বেশি। ফলে ওই আসনটি কংগ্রেসকে ছাড়ার জন্য মমতা ব্যানার্জিকে অনুরোধ করতে মহাকরণে এসেছিলেন কংগ্রেস নেতা সাকিল আহমেদ। কিন্তু তাকে ফিরতে হয় নিরাশ হয়ে।
এ পরিস্থিতিতে সোনিয়া গান্ধীকে প্রদীপ ভট্টাচার্য অনুরোধ জানান একটি আসনে কংগ্রেসকে প্রার্থী দেওয়ার অনুমতির জন্য।
তৃণমূলের একতরফাভাবে প্রার্থী ঘোষণা জোট রাজনীতির ক্ষেত্রে অশুভ ইঙ্গিত। এই ঘটনায় কংগ্রেস তৃণমূলের সঙ্গে আরও একবার সংঘাতের পথেই হাঁটলো বলে মত রাজনৈতিক মহলের।
বাংলাদেশ সময়: ১০৩৯ ঘণ্টা, মার্চ ১৯, ২০১২
আরডি
সম্পাদনা: কাজল কেয়া, নিউজরুম এডিটর