কলকাতা : সংবাদপত্রের কালো তালিকা নিয়ে চারদিকে প্রবল সমালোচনার মুখে নির্দেশিকায় সামান্য পরিবর্তন আনল রাজ্য গ্রন্থাগার দফতর। সংবাদপত্রের তালিকায় আরো ৫ টি নতুন কাগজ যুক্ত করা হয়েছে।
এগুলি হল ইংরেজি দৈনিক টাইমস অব ইন্ডিয়া, বাংলা দৈনিক আজকাল, নতুন করে প্রকাশিত হতে চলা বাংলা সংবাদপত্র কলম, যেটি বর্তমানে বন্ধ রয়েছে। এছাড়াও রয়েছে নেপালি ভাষার সংবাদপত্র হিমালয় দর্পণ এবং অলচিকি হরফের একটি সংবাদপত্র।
এসব পত্রিকায় সরকারি বিজ্ঞাপন বন্ধ রাখার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে। তবে পরিবর্তিত নির্দেশিকাতেও ব্রাত্য রয়ে গিয়েছে পশ্চিমবঙ্গের সর্বাধিক বিক্রিত বাংলা দৈনিক আনন্দবাজার পত্রিকা এবং ইংরেজি দৈনিক দ্য টেলিগ্রাফ।
তাৎপর্যপূর্ণ বিষয় হল- প্রথম নির্দেশিকায় সরকার গ্রন্থাগারে রাখার জন্য যে ৮টি সংবাদপত্রের নাম নির্দিষ্ট করে দিয়েছিল, তার মধ্যে এমন সংবাদপত্রও রয়েছে, যেগুলি এখনো অডিট ব্যুরো অব সার্কুলেশন এবং আইএনএসের রেজিস্ট্রেশন নম্বরও পায়নি।
এদিকে, সংবাদপত্র নিয়ে সরকারি ফতোয়ার বিরুদ্ধে আজ কলকাতা হাইকোর্টে একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেছেন জনৈক আইনজীবী বাসবী রায় চৌধুরী।
জনস্বার্থ মামলায় বলা হয়েছে, সরকারি অনুদান প্রাপ্ত পাঠাগারগুলিতে কোন সংবাদপত্র রাখা হবে এবং কোন সংবাদপত্র রাখা হবে না, তা চিহ্নিত করে অন্যায়, অনৈতিক এবং সংবিধানবিরোধী কাজ করেছে রাজ্য সরকার।
জনস্বার্থ মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে, এই ফতোয়া জারি করে আদপে ‘পেইড-নিউজ’ এর পথই প্রশস্ত করেছে রাজ্য সরকার। পাশাপাশি রাজ্যের কয়েক লক্ষ মানুষ যে সংবাদপত্রগুলি পড়েন, এই ফতোয়া জারি করে সেগুলোর তথা নিজের পছন্দমতো সংবাদপত্র পড়ার অধিকার থেকে পাঠকদের বঞ্চিত করেছে সরকার।
বাংলাদেশ সময়: ২০১৬ ঘণ্টা, মার্চ ২৯, ২০১২
আরডি/
সম্পাদনা: জাকারিয়া মন্ডল, অ্যাসিসট্যান্ট আউটপুট এডিটর