কলকাতা: জুলাই মাসে তরাই-ডুয়ার্সে নির্বাচন হবে। এর আগে জুন মাসে বিচারক শ্যামল সেনের নেতৃত্বে উচ্চপর্যায়ের কমিটি জিটিএ সীমারেখা নিয়ে রিপোর্ট জমা দেবেন।
সে রিপোর্ট যাই হোক না কেন তা দুপক্ষ থেকেই মেনে নেওয়া হবে বলে মোর্চার পক্ষ থেকে শনিবার জানানো হয়েছে। তবে মোর্চা আশাবাদী মোর্চার অনুকূলেই রিপোর্ট যাবে। পরে কোনো মৌজা সংযোজনের সুপারিশ করলে সেক্ষেত্রে জিটিএ-র মনোনীত প্রার্থী সেখানে পাঠানো হবে।
এদিন মোর্চার দাবি মেনে নেওয়ায় মোর্চার প্রধান বিমল গুরুং সন্তুষ্ট বলে জানিয়েছেন। এছাড়া রাজ্যসভার নির্বাচনে প্রার্থী দেওয়া এবার সম্ভব না হলেও পরের রাজ্যসভা নির্বাচন তাদের প্রার্থী দেবেন বলে সরকারকে পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
মোর্চার দাবি তরাই-ডুয়ার্সের ৩৯৮টি মৌজা জিটিএ-র অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। তার মধ্যে ১৯৬টি ডুয়ার্সের, ৩টি রাজগঞ্জের ও ১৯৯টি তরাইয়ের মৌজা।
এদিন, জিটিএ নিয়ে মহাকরণে মোর্চার প্রতিনিধিদের সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি বৈঠক হয়। মুখ্যমন্ত্রীর আমন্ত্রনে মোর্চার নেতা বিমল গুরুং, রোশান গিরি, হরকাবাহাদুর ছেত্রী সহ ৬ জন এতে অংশ নেন।
রাজনৈতিক মহলের ধারনা, রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে ইউপিএর প্রার্থীকে সমর্থন করার বার্তাও মুখ্যমন্ত্রী মোর্চাকে দেন।
মোর্চার প্রতিনিধিরা তারাই-ডুয়ার্সের এলাকা ছাড়া নির্বাচনে যেতে চাইছিল না। বিমল গুরুংয়ের দাবি আগে গোর্খাল্যান্ড টেরিটোরিয়াল অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের (জিটিএ) চুক্তি অনুযায়ী সীমানা নির্ধারন হোক তারপরে দ্বিস্তরিয় পঞ্চায়েত নির্বাচন যাবে।
দীর্ঘদিন পাহাড়ের পঞ্চায়েত নির্বাচন না হওয়ায় সরকারের পক্ষ থেকে দ্রুত নির্বাচন করার নির্দেশ দেওয়া হয়। সেক্ষেত্রে গোর্খা হিল কাউন্সিলের নির্ধারিত এলাকাতেই নির্বাচন করতে হবে বলে সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়। কিন্তু এতে রাজি ছিল না বিমল গুরুংরা। তারা আন্দোলনের হুমকি দেয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৮০৫ ঘণ্টা, মার্চ ২৪, ২০১২
আরডি/
সম্পাদনা: আবু হাসান শাহীন, নিউজরুম এডিটর