নয়াদিল্লি : অসুস্থতা কাটিয়ে ফের অনশন মঞ্চে আন্না হাজারে। লোকপাল বিল নিয়ে কেন্দ্রের উপরে চাপ বাড়াতে রোববার দিল্লির যন্তর মন্তরে একদিনের প্রতীকী অনশনে বসেছেন তিনি।
তবে এবার শুধু আর লোকপাল নয়। দেশে যারা দুর্নীতির ঘটনা জনসমক্ষে আনছেন, তাদের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হচ্ছে কেন্দ্র। এটাই তার এ অনশনের প্রধান ইস্যু।
টিম আন্নার অভিযোগ, ২০১০ থেকে এ পর্যন্ত দুর্নীতি প্রকাশ করতে গিয়ে নিহত হয়েছেন প্রায় ১৫ জন।
অনশনমঞ্চে বসার আগে সংবাদমাধ্যমকে আন্না বলেন, দুর্নীতি প্রকাশ করার জন্য একদিকে মানুষকে যখন মাশুল দিতে হচ্ছে, তখন ‘মূক-বধিরের মতো’ বসে রয়েছে কেন্দ্র।
মধ্যপ্রদেশের মরেনা জেলায় আইপিএস নরেন্দ্র কুমার সিং-সহ আরো যারা দুর্নীতি উন্মোচন করতে গিয়ে নিহত হয়েছেন তাদের পরিবারের প্রতি তিনি এ অনশন উৎসর্গ করেন। জন লোকপাল বিলের সঙ্গে দুর্নীতি প্রকাশকারীদের নিরাপত্তা আইন সুরক্ষিত করার জন্য এদিন আন্না দাবি তোলেন অনশন মঞ্চ থেকে।
গত বছর অগস্টে টানা ১২ দিন এই যন্তর মন্তরেই অনশনে বসেছিলেন গান্ধীবাদীএ নেতা। সেখান থেকে আন্দোলনের আঁচ ছড়িয়ে পড়ে সারাদেশে। তার আন্দোলনের কাছে বাধ্য হয়ে নতিস্বীকার করে লোকপাল বিলের খসড়ায় আন্নার ৩টি দাবি অন্তর্ভুক্ত করে মনমোহন প্রশাসন।
এরপর সংসদের শীতকালীন অধিবেশনে লোকসভায় প্রস্তাবিত লোকপাল বিলটি পাস হলেও শেষদিনের বিতর্কিত অধিবেশনে কোনো সিদ্ধান্তে আসতে পারেনি রাজ্যসভা।
এই পরিস্থিতিতে লোকপাল নিয়ে মতপার্থক্য দূর করতে বাজেট অধিবেশনের মধ্যেই গত শুক্রবার সর্বদল বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং। কিন্তু তাতে কাঙ্ক্ষিত সমাধানসূত্রের সন্ধান মেলেনি। যদিও বৈঠক শেষে সংবাদমাধ্যমকে প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন একটি শক্তিশালী লোকপাল বিল রাজ্যসভায় পেশ করবে তার সরকার।
কিন্তু আন্না হাজারে এবং তার সহযোগীদের তরফে ইতিমধ্যেই লোকসভায় পাস হওয়া লোকপাল বিলের খসড়া নিয়ে তীব্র আপত্তি জানানো হয়েছে।
সেই সূত্রেই এ দিন সর্বদল বৈঠকের বিষয়ে নিজের প্রতিক্রিয়ায় আন্না বলেন, শক্তিশালী লোকপাল আইন প্রণয়নের ব্যাপারে দেশের রাজনৈতিক নেতৃত্বের কোনো সদিচ্ছা নেই। তাই সংসদে শক্তিশালী লোকপাল বিল পাস না হওয়া পর্যন্ত তারা আন্দোলন চালিয়ে যাবেন বলে আরও একবার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন এই প্রবীণ গান্ধীবাদী।
বাংলাদেশ সময়: ১৮২৫ ঘণ্টা, মার্চ ২৫, ২০১২
আরডি
সম্পাদনা: আবু হাসান শাহীন, নিউজরুম এডিটর