কলকাতা : উত্তর ২৪ পরগনা, নদিয়া ও মুর্শিদাবাদের জেলা পরিষদের সভাপতির ক্ষমতা কেড়ে নিলো রাজ্য সরকার। সেই ক্ষমতা জেলা শাসকের হাতে দেওয়া হয়েছে।
এ ব্যাপারে সোমবার একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে। মুর্শিদাবাদে ও নদিয়াতেও একই বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে সিপিএমের কর্মীরা জেলা শাসকের অফিসের সামনে মঙ্গলবার বিক্ষোভ করবে বলে জানা গেছে।
উত্তর ২৪ পরগনার জেলা শাসকের ক্ষমতা কেড়ে নেওয়ায় বাম শিবিরে তীব্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে।
পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যেই জেলা পরিষদ ভেঙে দেওয়া হলো অভিযোগ করেন সিপিআইএমের জেলা সম্পাদক গৌতম দেব।
বামফ্রন্ট সভাপতি ও রাজ্য সিপিএমের শীর্ষনেতা বিমান বসু বলেন, ‘এটা গণতন্ত্রবিরোধী পদক্ষেপ। ’
বামেদের সব অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে তৃণমূলের পঞ্চায়েত মন্ত্রী সুব্রত মুখার্জি বলেছেন, জেলা পরিষদে স্থায়ী কমিটিতে সংখ্যালঘু হয়ে পড়েছিল বামেরা। তারা বাজেট পেশ করতে পারেনি। কাজেই তাদের অর্থনৈতিক ক্ষমতা জেলা শাসককে দেওয়া হচ্ছে।
এছাড়া সরকার পঞ্চায়েত যখন ইচ্ছে তখন ভেঙে দিতে পারে বলে জানান তিনি। সে পথে তারা জানাননি। বর্তমান পরিস্থিতিতে এই সিদ্ধান্ত নিতে সরকার বাধ্য হয়েছে।
এদিকে, বিধান সভায় বিরোধী দলনেতা সূর্যকান্ত মিশ্র জেলা পরিষদের ক্ষমতা কেড়ে নেওয়ার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানান।
মঙ্গলবার তিনি ও বাম বিধায়কেরা বিধানসভার ভেতরে ওয়েলে নেমে প্রতিবাদ জানান। তারা সভা মুলতবির আবেদন জানান। শেষে তারা সভা থেকে ওয়াকআউট করেন।
সূর্যকান্ত মিশ্র বলেন, এটি সম্পূর্ণ সংবিধানবিরোধী। সরকার সব সিদ্ধান্ত মহাকরণ থেকে নিচ্ছেন এবং তা ঘোষণা করছেন। যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোয় বিরোধীদের সঙ্গে যে আলোচনার প্রয়োজন তা মানা হচ্ছে না। এর বিরুদ্ধে এদিন তারা সরব হন।
বাংলাদেশ সময় : ১৪৪১ ঘণ্টা, মার্চ ২৭, ২০১২
আরডি
সম্পাদনা : আরিফুল ইসলাম আরমান ও কাজল কেয়া নিউজরুম এডিটর