ঢাকা, মঙ্গলবার, ১ মাঘ ১৪৩১, ১৪ জানুয়ারি ২০২৫, ১৩ রজব ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

পৌষ সংক্রান্তি উপলক্ষে শ্রীমঙ্গলে মাছের মেলা

ডিভিশনাল সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২৩০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৩, ২০২৫
পৌষ সংক্রান্তি উপলক্ষে শ্রীমঙ্গলে মাছের মেলা চিতল মাছের শারীরিক রূপালি সৌন্দর্য। ছবি: বিশ্বজিৎ ভট্টাচার্য বাপন  

মৌলভীবাজার: পৌষ সংক্রান্তি উপলক্ষে শ্রীমঙ্গলে বসেছে মাছের মেলা। এ মেলাকে কেন্দ্র করে বাজারে উঠেছে নানান প্রজাতির মাছ।

তবে দাম বেশ চড়া।

সোমবার (১৩ জানুয়ারি) দিনব্যাপী এই মেলাটি স্থানীয়ভাবে সার্বজনীন উৎসবে রূপ নিয়েছে। এখানবার ব্যবসায়ীরা সপ্তাহখানেক আগে বড় বড় মাছ সংগ্রহ করতে থাকেন। সেই অনুযায়ী মাছের দামও হাঁকা হয়।

মৎস্য ব্যবসায়ীরা জানান, প্রতিবছরের ন্যায় এবারও বাংলা পৌষ মাসের শেষের দিন সনাতন ধর্মাবলম্বীরা পৌষ সংক্রান্তি উৎসব করেন। এই সংক্রান্তি ঘিরেই বাজার থেকে ক্রেতারা তাদের সামর্থ্য মতো বড় বড় মাছ কিনেন।

সরেজমিন বাজার ঘুরে দেখা যায়, বিভিন্ন প্রজাতির মাছ নিয়ে পসরা সাজিয়ে বসেছেন বিক্রেতারা। বাজারে ক্রেতা সমাগম কম হলেও সন্ধ্যা ও রাতে ক্রেতা বাড়বে বলে জানিয়েছেন একাধিক মাছ বিক্রেতা। মেলা উপলক্ষে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে ছোট-বড় বিভিন্ন জাতের মাছ এসেছে মেলায়। চিতল, বোয়াল, রুই, কাতলা, ঘাঘট প্রভৃতি প্রজাতির মাছ বাজারে এসেছে। মাছ দেখতে আসা আগ্রহীরা সংখ্যায় বেশি হলেও ক্রেতারা সংখ্যায় কম। আগ্রহীরা নিজেদের মোবাইলে ছবি-ভিডিওতে ধারণ করেই কেটে পড়েন।

মাছ ব্যবসায়ী লিটন মিয়া বলেন, বাঘাইড় জাতীয় খুব বড় আকারে মাছ এবার বাজারে উঠেনি। বড় সাইজের চিতল এবং বোয়াল মাছই বাজারে বেশি। আকৃতি অনুসারে চিতলের কেজি প্রতি দাম দেড় থেকে দুই হাজার। আর বোয়ালের এক হাজার এবং দেড় হাজার টাকা।

তিনি আরও বলেন, এই মাছের মেলায় স্থানীয় বিভিন্ন বিল-হাওর, নদ-নদীর মাছ কিনে নিয়ে আছেন ব্যবসায়ীরা। কেউ কেউ শেরপুর এবং ভৈরব থেকেও মাছ কিনে নিয়ে আছেন। মাছের ফিশারি বা খামার থেকেও মাছ আনা হয় বাজারে। হাওর-বিলের মাছের দাম সর্বাধিক।

পৌষ সংক্রান্তি মাছ কিনতে আসা সঞ্জয় দে জানান, রুই-কাতলা তো প্রায় সারা বছরই খাওয়া হয়। বাজারে এসেছে ব্যতিক্রমী মাছ কিনতে। কিন্তু দেখলাম চিতল আর ঘাঘটের দাম আমার মতো সাধারণ ক্রেতার নাগালের বাইরে।

অপর মাছ ব্যবসায়ী সোবহান বলেন, মাছের গুরুত্ব বুঝে ৫ থেকে ১০ কেজির ওপরের মাছ আমরা আস্ত হিসেবে বিক্রি করি। কেজি প্রতি বিক্রি করলে আমাদের লস হয়। কারণ মাছের মেলা বলে কথা। প্রতি বছর এই মাছের মেলার জন্য আমরা অপেক্ষায় থাকি।

নতুন বাজারের ব্যবসায়ী লিটন সেন বলেন, প্রায় অর্ধশত বৎসর আগে থেকে শ্রীমঙ্গলের এই ঐতিহ্যবাহী মাছের মেলাটি অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে। বলা যায়, এটি এখন একটি সার্বজনীন উৎসবের রূপ নিয়েছে। নানা জায়গা থেকে আগ্রহী মানুষেরা মাছ কিনতে এখানে আসেন।  

বাংলাদেশ সময়: ২২৩০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৩, ২০২৫
বিবিবি/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।