ঢাকা, শুক্রবার, ১৭ কার্তিক ১৪৩১, ০১ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ রবিউস সানি ১৪৪৬

শিক্ষা

জাবি কর্মচারীদের অবস্থান ধর্মঘট গড়ালো দ্বিতীয় দিনে

জাবি করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৫৯ ঘণ্টা, জুলাই ১৮, ২০২৩
জাবি কর্মচারীদের অবস্থান ধর্মঘট গড়ালো দ্বিতীয় দিনে

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি): চাকরি স্থায়ী করার দাবিতে দ্বিতীয় দিনের মতো অবস্থান ধর্মঘট করছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) দৈনিক মজুরিভিত্তিক কর্মচারীরা।  

মঙ্গলবার (১৮ জুলাই) বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন প্রশাসনিক ভবনের সামনে দ্বিতীয় দিনের অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেন তারা।

এ প্রতিবেদন লেখা প্রর্যন্ত কর্মসূচি চলমান আছে।  

এর আগে সোমবার (১৭ জুলাই) সকাল ৯টায় এ অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেন তারা।

মঙ্গলবার সকালে নতুন প্রশাসনিক ভবনের সামনে গিয়ে দেখা যায়, কাঁথা-বালিশ বিছিয়ে ভবনের প্রধান ফটকের সামনে শুয়ে আছেন কর্মচারীরা। সারা রাত তারা সেখানেই অবস্থান করেছেন বলে জানান। অবস্থানরত কর্মচারীদের দাবি, তাদের চাকরি স্থায়ী হবে। যতক্ষণ পর্যন্ত দাবি না মানা হবে, ততক্ষণ পর্যন্ত তারা আন্দোলন চালিয়ে যাবেন।  

আন্দোলনরত কর্মচারীরা জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ে বর্তমানে ১৪২ জন অস্থায়ী কর্মচারী আছেন। যাদের দৈনিক ৪শ টাকা হারে মজুরি দেওয়া হয়, যা বর্তমান বাজারমূল্য অনুযায়ী খুবই স্বল্প। সংসার চালাতে হিমশিম খাচ্ছেন তারা। চাকরি স্থায়ীকরণের দাবিতে ২০২০ সাল থেকে এখন পর্যন্ত তিনবার প্রশাসনকে স্মারকলিপি দিয়েছেন।

একই দাবিতে মানববন্ধন করা হলে কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক রাশেদা আখতার অস্থায়ী কর্মচারীদের অগ্রাধিকারভিত্তিতে চাকরি স্থায়ীকরণের আশ্বাস দেন।

সবশেষ চলতি বছরের দুই জানুয়ারি চাকরি স্থায়ীকরণের দাবিতে আমরণ অনশনে বসেন তারা। তখন প্রশাসন ছয় মাসের মধ্যে অগ্রাধিকারভিত্তিতে বিভিন্ন হল, বিভাগ ও অফিসগুলোয় নিয়োগের মৌখিক আশ্বাস দেন। তবে ছয় মাস অতিবাহিত হলেও তার কোনো বাস্তবায়ন না হওয়ায় আবারও অবস্থান ধর্মঘটে বসেছেন তারা।

বিশ্ববিদ্যালয়ের বেগম সুফিয়া কামাল হলের নিরাপত্তা প্রহরী শামসুল আলম বাংলানিউজকে বলেন, চাকরি স্থায়ীকরণের জন্য প্রশাসন বার বার আশ্বাস দিয়েছে, তবে তা বাস্তবায়ন হয়নি। কয়েকমাস আগে আমরা অনশনে বসলে প্রশাসন নিয়োগের মৌখিক আশ্বাস দেয়। তখন আমরা কর্মসূচি স্থগিত করেছি। তবে মৌখিক আশ্বাসের নির্ধারিত সময় পেরিয়ে গেলেও আমাদের চাকরি স্থায়ী করা হয়নি।

আন্দোলনরত বিশ্ববিদ্যালয়ের শেখ হাসিনা হলের মালি মো. শরিফুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, দৈনিক ৪০০ টাকা মজুরিতে বর্তমান বাজারে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির সঙ্গে তাল মিলিয়ে ছেলেমেয়েদের পড়াশোনা করাতে কষ্ট হয়। এছাড়া আমাদের সন্তানরাও পোষ্য কোটার সুবিধা পাচ্ছে না। আমরা চাই আমাদের চাকরি স্থায়ী করা হোক। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন চলবে।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক রাশেদা আখতার বলেন, কোষাধ্যক্ষের দায়িত্ব পাওয়ার পর তৎকালীন উপাচার্যের পরামর্শে অস্থায়ী কর্মচারীদের মজুরি দৈনিক ৩৩০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৪০০ করা হয়েছে। দৈনিক মজুরিভিত্তিতে কর্মরত মোট ১৭৯ জন কর্মচারীর মধ্যে থেকে এখন পর্যন্ত ৩৭ জনকে স্থায়ী চাকরি দেওয়া হয়েছে। দৈনিক মজুরিতে কর্মরত ব্যক্তিদের অবস্থা মানবিক বিবেচনায় নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন থেকে নতুন পদে নিয়োগের অনুমোদন আনতে তিনি উপাচার্যকে যথাসাধ্য সহযোগিতা করে যাচ্ছেন। ইউজিসির অনুমোদন সাপেক্ষে দৈনিক মজুরিতে কর্মরত ব্যক্তিদের ধাপে ধাপে স্থায়ী করার প্রক্রিয়া অব্যাহত থাকবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৫৯ ঘণ্টা, জুলাই ১৮,২০২৩
এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।