ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়: বিএনপি দেশে আরেকটি ওয়ান-ইলেভেন পরিস্থিতি তৈরি করতে চায় বলে অভিযোগ তুলেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল।
বৃহস্পতিবার (৩০ নভেম্বর) দুপুর সাড়ে ১২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক মিলনায়তনে (টিএসসি) অ্যাডভোকেসি ক্যাম্পেইন আয়োজিত ‘গণতন্ত্র, উন্নয়ন ও নির্বাচন: বাংলাদেশ পরিপ্রেক্ষিত’ শীর্ষক সেমিনারে তিনি এ অভিযোগ তোলেন।
ঢাবি উপাচার্য বলেন, বিএনপি যে আন্দোলন করছে তা তত্ত্বাবধায়ক সরকারের জন্য নয়। তারা চায় দেশে আরেকটি ওয়ান-ইলেভেন আসুক। বিদেশি শক্তি বিএনপিকে ক্ষমতায় বসাতে চায় না। তারা চায় তাদের মদদপুষ্ট একজন হামিদ কারজাইকে ক্ষমতায় বসাতে, যাতে এদেশের উন্নয়নের ধারা বন্ধ করা যায়।
তিনি বলেন, নির্বাচনের মাধ্যমে গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে মানুষের ভোটে সরকার ক্ষমতায় আসবে এটাই আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক চরিত্র। কিন্তু বাংলাদেশের অর্থনৈতিক আত্মনির্ভরতাকে একদল বিনষ্ট করতে চায়। তারা এদেশে সুষ্ঠু নির্বাচন চায় না।
মাকসুদ কামাল আরও বলেন, বিদেশি শক্তি যে বিএনপিকেই ক্ষমতায় বসাতে চায় বিষয়টি এমন নয়। বরং তারা তাদের মদদপুষ্ট একজনকে ক্ষমতায় বসাতে চায়। তারা চায় না বাংলাদেশে পদ্মাসেতু হোক, এজন্য বিশ্বব্যাংক থেকে তারা ঋণ বন্ধ করে দিয়েছে। এদেশে পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র, গভীর সমুদ্রবন্দর, মেট্রোরেল, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে হোক এটা বিদেশিরা চায় না।
তিনি বলেন, সমীক্ষায় দেখা গেছে, বাংলাদেশের উন্নয়নের ধারা এভাবে চলতে থাকলে আমাদের জিডিপি প্রবৃদ্ধি ১০ শতাংশ ছাড়িয়ে যাবে। এভাবে পরিকল্পনা নেওয়ার ফলে চীন ও জাপানের অর্থনীতি সাস্টেইন করেছিল। এই উন্নয়নের ধারা বাধাগ্রস্ত করতেই যাবতীয় ষড়যন্ত্র।
তত্ত্বাবধায়ক সরকার নিয়ে তিনি বলেন, সুষ্ঠু নির্বাচনের আশায় শেখ হাসিনা ২০০১ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের হাতে ক্ষমতা ছেড়ে দিয়েছিলেন। তখনকার তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টা লতিফুর রহমান ক্ষমতায় এসেই ১১ জন সচিবকে সরিয়ে দিলেন। তার সমুদয় সমর্থন নিয়ে বিএনপি ২০০১ সালে ক্ষমতায় আসে। এরপর আর কীভাবে তত্ত্বাবধায়ক সরকার।
সেমিনারে মূল প্রবন্ধ পাঠ করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামের ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. আব্দুর রহিম। এছাড়া বক্তব্য রাখেন ঢাবি শিক্ষক সমিতির সভাপতি নিজামুল হক ভূঁইয়া ও সাধারণ সম্পাদক জিনাত হুদাসহ অনেকে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫০২ ঘণ্টা, নভেম্বর ৩০, ২০২৩
ফাহিম হোসেন/এইচএ/