ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৬ পৌষ ১৪৩১, ৩১ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

শিক্ষা

হল থেকে নামিয়ে দিল ছাত্রলীগ, তুলে দিলেন প্রাধ্যক্ষ

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭২১ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২, ২০২৩
হল থেকে নামিয়ে দিল ছাত্রলীগ, তুলে দিলেন প্রাধ্যক্ষ

রাজশাহী: রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) এক আবাসিক শিক্ষার্থীর বিছানাপত্রসহ নামিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। সিট পাওয়ার পর দিনই হল শাখা ছাত্রলীগের এক অনাবাসিক নেতা তাকে নামিয়ে দিয়েছে।

 

শুক্রবার (১ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী হলের ১৪৪ নম্বর কক্ষে এ ঘটনা ঘটে। এরপর খবর পেয়ে রাত ১১টার দিকে হল প্রশাসন ভুক্তভোগী ওই শিক্ষার্থীকে আবারও সিট বুঝিয়ে দিয়েছে।

ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর নাম আবীর হোসাইন। তিনি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণরসায়ন ও অনুপ্রাণ বিজ্ঞান বিভাগের ২০১৯-২০২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী। আর হল শাখা ছাত্রলীগের ওই নেতার নাম ফজলে রাব্বি। তিনি রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের ২০২১-২০২২ শিক্ষাবর্ষ এবং ওই হলের অনাবাসিক শিক্ষার্থী। এছাড়া হল শাখা ছাত্রলীগের সমাজসেবাবিষয়ক সম্পাদক। তিনি বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগ সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান বাবুর অনুসারী।  

ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী জানান, বৃহস্পতিবার (৩০ নভেম্বর) সন্ধ্যায় রাবি হল প্রশাসনের মাধ্যমে তিনি হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী হলের ১৪৪ নম্বর কক্ষে ওঠেন। শুক্রবার বিকেল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত তিনি কক্ষের বাইরে ছিলেন। এ সময় ওই হল ছাত্রলীগ নেতা ফজলে রাব্বি ও তার দুজন অনুসারী আবিরের বিছানাপত্র সিট থেকে নামিয়ে দেন। সেখানে তাদের অনুসারী পরিসংখ্যান বিভাগের ২০২১-২০২২ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী মো. সিয়ামকে জায়গা দেওয়া হয়। এ ঘটনায় সন্ধ্যা ৬টার পর তিনি হলে এসে বিষয়টি দেখেন এবং হল প্রশাসনকে জানান।  

পরে রাত সাড়ে ১০টার দিকে হলে আসেন রাবি হল প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক জাহাঙ্গীর হোসেন, আবাসিক শিক্ষক তানজিল ভূঁইয়া, অনুপম হীরা মণ্ডল, ফারুক হোসেন ও মামুনুর রশিদ।

তারা এর সত্যতা পেয়ে ছাত্রলীগ নেতা ফজলে রাব্বির কাছে ওই শিক্ষার্থীর বিছানাপত্র নামিয়ে দেওয়ার কারণ জানতে চান। কিন্তু তিনি কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি। পরে শুক্রবার রাত ১১টার দিকে হল প্রশাসন ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীকে আবারও তার সিট ফিরিয়ে দেন।  

তবে বরাদ্দ পাওয়া শিক্ষার্থীকে তার সিট থেকে বিছানাপত্র নামিয়ে দেওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করেছেন ফজলে রাব্বি।

তিনি জানান, ওই সিটটি তাদেরই ছিল। কিন্তু হল প্রশাসন ওই সিট আবিরকে বরাদ্দ দিয়েছে। আবিরের আবাসিক হলে সিট বরাদ্দ আছে কি না, নিশ্চিত হওয়ার জন্য সেখানে গিয়েছিলেন। সিট থেকে বিছানাপত্র নামিয়ে দেওয়ার বিষয়টি সত্য নয়।  

ছাত্রলীগ রাবি শাখা সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান বাবু বলেন, বিষয়টি জানার পরপরই আমি হল প্রাধ্যক্ষের সঙ্গে কথা বলি। পরে প্রাধ্যক্ষ স্যার বিষয়টি মীমাংসা করে দেন।

এদিকে হল প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী আবির হোসাইন জানান সিট থেকে তার বিছানাপত্র নামিয়ে দেওয়া হয়েছে। তার মৌখিক অভিযোগের পর আবাসিকতা থাকায় ওই সিটটি রাতেই তাকে বুঝিয়ে দেওয়া হয়।

বাংলাদেশ সময়: ১৭২০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০২, ২০২৩
এসএস/আরআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।