ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়: জাতীয় শিক্ষাক্রম-২০২১ স্থগিত করে সবার মতামতের ভিত্তিতে নতুন শিক্ষাক্রম প্রণয়নের দাবি জানিয়েছে সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট।
বুধবার (২০ ডিসেম্বর) বিকেল ৪টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের সামনে আয়জিত সমাবেশে সংগঠনটির নেতারা এ দাবি জানান।
তাদের দাবি ছাত্র-শিক্ষক-শিক্ষাবিদসহ অংশীজনের মতামতের ভিত্তিতে নতুন শিক্ষাক্রম প্রণয়ন করা, শিক্ষাখাতে ৬ শতাংশ বরাদ্দ ও অবকাঠামোগত আয়েজন নিশ্চিত করা, সন্ত্রাস-দখলদারমুক্ত শিক্ষার গণতান্ত্রিক পরিবেশ নিশ্চিত করা, ফ্যাসিবাদী-দুঃশাসনের বিরুদ্ধে ভোটাধিকার ও গণতন্ত্রের সংগ্রাম জোরদার করা।
সমাবেশে ছাত্র ফ্রন্টের (বাসদ) কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি মুক্তা বাড়ৈ বলেন, পৃথিবীর কোনো দেশে একসাথে কারিকুলামের শতভাগ পরিবর্তন করা হয় না। নতুন শিক্ষাক্রমে জীবন ও জীবিকা এবং প্রযুক্তি দক্ষতার ওপর গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে, যাতে শিক্ষার্থীরা দক্ষ কারিগর হয়ে বিদেশ থেকে রেমিটেন্স পাঠাতে পারে। বর্তমান সরকার গবেষক, বিজ্ঞানী, ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার তৈরি করতে চায় না।
তিনি বলেন, গবেষণায় দেখা গেছে, দশম শ্রেণি পাস করার আগে ৭০ ভাগ শিক্ষার্থী ঝরে যায়। ঝরে যাওয়া কীভাবে রোধ করা যায়, তা না ভেবে সরকার তাদের ভালো মিস্ত্রী তৈরির পরিকল্পনা করেছে। এসব বাতিল করে শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মতামতের ভিত্তিতে নতুন শিক্ষাক্রম প্রণয়ন করতে হবে।
সমাবেশে দলের সাংগঠনিক সম্পাদক সুহাইল আহমেদ শুভ বলেন, কোচিং ব্যবসা বন্ধ করতে হলে শিক্ষায় বরাদ্দ বাড়াতে হবে। ১০ থেকে ১৫ হাজার টাকা বেতনে একজন শিক্ষকের জীবন চলে না; তাকে কোচিং-প্রাইভেট করাতে হয়। আমরা দীর্ঘদিন শিক্ষায় বরাদ্দ বাড়ানের কথা বললেও সরকার তা অগ্রাহ্য করেছে। কোনো পরিকল্পনা ছাড়া আগের শিক্ষাক্রমও প্রণয়ন করা হয়েছিল। পরে দেখা গেল, ৬০ ভাগের উপর শিক্ষক সৃজনশীল প্রশ্নই তৈরি করতে পারেন না। এভাবে পরিকল্পনা ছাড়া শিক্ষাব্যবস্থা প্রণয়ন করলে তা বুমেরাং হয়ে ফিরে আসবে।
ছাত্র ফ্রন্টের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক রায়হান উদ্দিনের সঞ্চালনায় সমাবেশে আরও উপস্থিত ছিলেন ছাত্র ফ্রন্টের সাবেক কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক নাসিরুদ্দিন প্রিন্স, বর্তমান দপ্তর সম্পাদক অনিক কুমার দাসসহ প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৫৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২০, ২০২৩
এমজেএফ