ঢাকা: ২০২৪ শিক্ষাবর্ষে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের জন্য সাপ্তাহিক রুটিন ও শ্রেণি কার্যক্রমের বার্ষিক কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন করে প্রকাশ করেছে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি)।
মঙ্গলবার (২৬ ডিসেম্বর) সাপ্তাহিক রুটিন ও শ্রেণি কার্যক্রমের বার্ষিক কর্মপরিকল্পনা প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরে পাঠানো হয়েছে।
সাধারণ নির্দেশনায় বলা হয়েছে, প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় শ্রেণিতে জুন মাসের শেষে ধারাবাহিক মূল্যায়নের অর্ধবার্ষিক এবং ডিসেম্বর মাসে ধারাবাহিক মূল্যায়নের শিখন অগ্রগতি প্রতিবেদন প্রণয়ন করতে হবে।
চতুর্থ ও পঞ্চম শ্রেণিতে তিনটি প্রান্তিকের নির্ধারিত সময় ও সিলেবাসে সামষ্টিক মূল্যায়ন পরিচালনা করতে হবে। উল্লেখ্য যে, এক প্রান্তিকের সিলেবাস অন্য প্রান্তিকে অন্তর্ভুক্ত হবে না।
চতুর্থ ও পঞ্চম শ্রেণির প্রান্তিক মূল্যায়ন চলাকালীন প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় শ্রেণির পাঠের পুনরালোচনা চলমান থাকবে।
এতে আরও বলা হয়, ২০২৪ শিক্ষাবর্ষে বিদ্যালয়ের মোট কর্মদিবস এবং সাপ্তাহিক ক্লাস রুটিনের আলোকে জাতীয় শিক্ষাক্রম রূপরেখা-২০২১ এর বার্ষিক শিখন সময়ের সাথে সমন্বয়পূর্বক মাসভিত্তিক বার্ষিক পাঠ পরিকল্পনা প্রণয়ন করা হয়েছে।
শিখন ঘাটতি পূরণের লক্ষ্যে বার্ষিক পাঠ পরিকল্পনায় প্রতি বিষয়ে প্রয়োজনীয় সংখ্যক পাঠের পুনরালোচনা রাখা হয়েছে।
নির্ধারিত সময়ে সুষ্ঠুভাবে পাঠ সম্পন্নের লক্ষ্যে প্রণীত বার্ষিক পাঠ পরিকল্পনা বিদ্যালয়ের জন্য একটি গাইড লাইন। তবে শিক্ষক শিক্ষার্থীর চাহিদা অনুসারেও পাঠ বিভাজন করতে পারবেন, এক্ষেত্রে অবশ্যই শিক্ষাবর্ষের মোট কর্মদিবসের মধ্যে কার্যকরভাবে পাঠ্যপুস্তকের সমা বিষয়বস্তু পড়ানো সম্পন্ন করতে হবে।
বাংলা বিষয়ে প্রতিটি শ্রেণিতে শিক্ষার্থীদের পাঠাভ্যাস গড়ে তোলার জন্য বার্ষিক পাঠ পরিকল্পনায় পুনরালোচনার দিনগুলোতে কমপক্ষে ১০ (দশ) মিনিট সংশ্লিষ্ট নির্দেশনার আলোকে সম্পূরক পঠন সামগ্রী (এসআরএম) ব্যবহার করবেন।
বাংলাদেশ সময়: ২০৫৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৬, ২০২৩
এমআইএইচ/এমজেএফ