লালমনিরহাট: লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলায় স্কুল ড্রেস না পরায় নাহিদ হাসান (১৩) নামে এক শিক্ষার্থীকে বেধড়ক মারধর ও রুমে আটকে রাখার অভিযোগ উঠেছে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে।
গত সোমবার (১৩ মে) উপজেলার হাতীবান্ধা আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ে ক্লাস চলাকালে এ ঘটনা ঘটে।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থী নাহিদ হাসান ময়লা থাকার কারণে সোমবার নির্ধারিত ড্রেস না পরে ক্লাসে যায়। এ কারণে ওই শিক্ষার্থীকে ক্লাসের বাইরে বের করে বেধড়ক মারধর করেন প্রধান শিক্ষক (ভারপ্রাপ্ত) আব্দুস সোবহান। মারধর করে ওই শিক্ষার্থীকে রোদেও দাঁড় করিয়ে রাখেন এবং পরে একঘণ্টা রুমে তালাবদ্ধ করে রাখেন।
এ ঘটনা দেখে ভয়ে তার সহপাঠীরা আতঙ্কিত হয়ে স্কুল থেকে চলে যায়। মারধরের কারণে নাহিদ হাসান অসুস্থ হয়ে পড়লে সহপাঠীরা বাড়িতে গিয়ে তার বাবাকে খবর দেয়। পরে তার বাবা স্কুলে এসে তালাবদ্ধ একটি কক্ষ থেকে ছেলেকে উদ্ধার করে হাতীবান্ধা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। এরপর আব্দুস সোবহানের বিরুদ্ধে হাতীবান্ধা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
ওই শিক্ষার্থীর বাবা মিলন জানান, স্কুলের প্রধান শিক্ষক আব্দুস সোবহান আমার ছেলেকে চোরের মত মেরেছেন। তাকে মারধরের সময় অনেক শিক্ষার্থীই ভয়ে স্কুল থেকে পালিয়ে গিয়ে আমায় খবর দেয়। খবর পেয়ে এসে দেখি আমার ছেলে একটি কক্ষে বন্দী অবস্থায় আছে। বদ্ধরুম থেকে ছেলেকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেছি। এ ঘটনার সঠিক বিচার চাই।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক (ভারপ্রাপ্ত) আব্দুস সোবহানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি মোবাইল ফোনে বাংলানিউজকে বলেন, আমি বাইরে আছি। ‘এ বিষয়ে সাক্ষাতে কথা হবে’ বলে কলটি কেটে দেন তিনি।
হাতীবান্ধা উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার শাহ মোহাম্মদ তারিকুল ইসলাম বলেন, শিক্ষার্থীকে মারধরের বিষয়টি দুঃখজনক। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
হাতীবান্ধা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি-তদন্ত) নির্মল চন্দ্র মহন্ত বলেন, শিক্ষার্থীকে মারধর সংক্রান্ত একটি অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৩৪ ঘণ্টা, মে ১৪, ২০২৪
এইচএ/