এতে আন্দোলনের তৃতীয় দিন বুধবার (২৪ জানুয়ারি) পুরোপুরি অচল হয়ে পড়েছে বরিশাল বিভাগের ২ সহস্রাধিক বেসরকারি স্কুল, কলেজ এবং কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।
ধর্মঘটের কারণে বরিশালে বেসরকারি কোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ক্লাস বা পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়নি।
এর আগে বরিশাল বিভাগ শিক্ষক-কর্মচারী সংগ্রাম কমিটির ব্যানারে ২২ জানুয়ারি থেকে টানা ধর্মঘট শুরু করেন শিক্ষকরা।
পূর্বঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে বুধবার শিক্ষকরা নিজ নিজ এলাকার রাজনীতিবিদ, বুদ্ধিজীবী ও পেশাজীবীদের সঙ্গে মতবিনিময় করেছেন।
এদিকে ১১ দফা দাবি নিয়ে ধর্মঘটে যাওয়ার আগে শিক্ষকরা পর্যায়ক্রমে মানববন্ধন, মিছিল, সমাবেশ এবং প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি দিয়েছেন। কিন্তু সরকারের পক্ষ থেকে তাদের দাবি না মানা হলে ধর্মঘট শুরু করেন শিক্ষকরা।
বরিশাল নগরের এ. কে স্কুলের প্রধান শিক্ষক মো. জসিমউদ্দীন জানান, তারা চাননি কোমলমতি শিক্ষার্থীদের পাঠদান থেকে বিরত রাখার মতো কর্মসূচি দিতে। তবে সরকার তাদের ন্যায্য দাবি মেনে নিলে বাড়তি ক্লাস নিয়ে শিক্ষার্থীদের এই ক্ষতি পুষিয়ে দেবেন।
শিক্ষক কর্মচারী বিভাগীয় সংগ্রাম কমিটি সদস্য অধ্যক্ষ আকমো মিজানুর রহমান নেতারা বললেন, ৭২ সালের সংবিধানে উল্লেখ রয়েছে সব শিক্ষা জাতীয়করণের। এ বিষয়টি কোনো সরকার আজ পর্যন্ত বাস্তবায়ন করেনি। এজন্য তারা বাধ্য হয়েছেন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোয় ধর্মঘটে যেতে। তাদের দাবি না মানা পর্যন্ত কর্মসূচি অব্যাহত থাকার কথা বলেন।
এদিকে বৃহস্পতিবার (২৫ জানুয়ারি) সংসদ সদস্য ও জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে মত বিনিময় ও শনিবার (২৭ জানুয়ারি) সব বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধানদের সঙ্গে সভা করবেন বলে জানিয়েছেন বিভাগীয় সংগ্রাম কমিটির সমন্বয়ক অধ্যাপক মহসিন উল ইসলাম।
বাংলাদেশ সময়: ১৭১৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৪, ২০১৮
এমএস/জেডএস