ঢাকা, সোমবার, ৮ আশ্বিন ১৪৩১, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৯ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

পাসের হারে ভিন্নতা অস্বাভাবিক কিছু নয়: শিক্ষামন্ত্রী

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮১৫ ঘণ্টা, মে ৬, ২০১৯
পাসের হারে ভিন্নতা অস্বাভাবিক কিছু নয়: শিক্ষামন্ত্রী এসএসসি পরীক্ষার আনুষ্ঠানিক ফল ঘোষণা করছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি ও উপমন্ত্রী মুহিবুল হাসান চৌধুরী/ছবি: জিএম মুজিব‍ুর

ঢাকা: এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় বিভিন্ন বোর্ডে পাসের হারে ভিন্নতা নিয়ে শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি বলেছেন, এটি মোটেই অস্বাভাবিক কিছু নয়। যেখানে বেশি বেড়েছে সেখানে কোনো ধরনের শিথিলতা ছিল না।

পরীক্ষার ফল প্রকাশ উপলক্ষে সোমবার (৬ মে) রাজধানীর সেগুনবাগিচায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলনে প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা বলেন।
 
ফলাফলে দেখা যায়, এবার এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় পাসের হার ৮২ দশমিক ২০ শতাংশ।

গতবারের থেকে এবার পাসের হার বেড়েছে ৪ দশমিক ৪৩ শতাংশ। এবার জিপিএ-৫ পেয়েছে ১ লাখ ৫ হাজার ৫৯৪ জন। গতবছর ছিল ১ লাখ ১০ হাজার ৬২৯ জন। এবার শূন্য পাস প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ১০৭টি, গতবছর ছিল ১০৯টি।
 
পাসের হার বৃদ্ধি উপহার কিনা প্রশ্নে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, পাসের হার বেড়েছে এটি আমাদের উপহার- এটা মনে করবার কারণ নেই। পরীক্ষার্থীরাই পরীক্ষা দিয়ে ভালো ফল করেছে। আমরা চাই সব শিক্ষার্থী পাস করবে, কিন্তু কোনো না কোনো কারণে অনেক শিক্ষার্থী পাস করে না। পাসের হারের কৃতিত্ব শিক্ষার্থী-অভিভাবক এবং শিক্ষকদের কৃতিত্ব।
 
বিভিন্ন বোর্ডে পাসের হারে ভিন্নতা নিয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, এটি মোটেই অস্বাভাবিক কিছু নয়। কোথাও কোথাও বেড়েছে, কোথাও কমেছে। যেখানে বেশি বেড়েছে সেখানে কোনো ধরনের শিথিলতা ছিল না।
 
ঢাকা বোর্ডে ১ দশমিক ৮৬ শতাংশ কমার কারণ নিয়ে মন্ত্রী বলেন, ঢাকা বোর্ডে গণিতে পাসের হার গতবছরের তুলনায় ২ দশমিক ৫৬ শতাংশ কমেছে। মানবিকে গতবছরের তুলনায় কমেছে ৩ দশমিক ৩৪ শতাংশ। যেহেতু মোট পরীক্ষার্থীর ৪০ শতাংশ মানবিকের পরীক্ষার্থী, তার প্রভাব পুরো পাসের হারের উপরে কিছুটা পড়েছে।
 
সিলেটে পাসের হার সবচেয়ে কম হওয়ার কারণ নিয়ে মন্ত্রী বলেন, সেখানেও গণিতে পাসের হার কম।
 
কুমিল্লা বোর্ডে পাসের হার বেশি হওয়ার কারণ নিয়ে মন্ত্রী বলেন, কোথাও যখন এগিয়ে যাচ্ছে সেটা আমাদের শেখার আছে। ধারাবাহিকভাবে একটি বোর্ড ভালো করলে নিশ্চয়ই ভালো কিছু করছে। এই পরিসংখ্যান থেকে পরবর্তী করণীয় নির্ধারণ করবো।
 
বিষয়ভিত্তিক গণিতে সব বোর্ডে গড় পাসের হার ৮৮ দশমিক ২৪ শতাংশ। ইংরেজিতে ৯৫ দশমিক ৯২ শতাংশ।
 
আইসিটি শিক্ষায় পাসের হার কম নিয়ে মন্ত্রী বলেন, আইসিটির শিক্ষক এখনও অপ্রতুল। আমরা শিক্ষক বাড়ানো ও প্রশিক্ষণ দেওয়ার চেষ্টা করছি। কারিকুলার রিভিউ করার ক্ষেত্রে আইসিটি শিক্ষাকেও আরো বেশি দক্ষ করে তুলতে পারি- সে বিষয়ে বিশেষভাবে মনোযোগ দিচ্ছি।
 
যে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে কোনো শিক্ষার্থী পাস করতে পারেনি, কেন পারলো না, সেখানে ব্যর্থতা কোথায় আছে, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো কী দায় আছে- এই বিষয়গুলো খতিয়ে দেখে আমরা অবশ্যই যথাযথ ব্যবস্থা নেবো।  
 
অতীতে শূন্য পাস ‍প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে কী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে- জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, অতীতে তাদের কারণদর্শাতে বলা হয়েছে। কারো কারো বিরুদ্ধে বিভিন্ন ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
 
শাস্তি দেওয়া আমাদের উদ্দেশ্য নয়, আমাদের উদ্দেশ্য তাদের যে ব্যর্থতা আছে সেগুলো কাটিয়ে উঠে যেন সাফল্যের ধারায় আমরা নিয়ে আসতে পারি। কোনো কোনো ক্ষেত্রে তারা সাফল্যের দিকে যাচ্ছে, আর যারা শোধরাতে পারছে না কোনো কোনো ক্ষেত্রে তাদের এমপিও বাতিল করা হয়েছে।
 
কিছু কেন্দ্রে ভিন্ন প্রশ্ন দেওয়ায় ফলে প্রভাব পড়েছে কিনা- প্রশ্নে মন্ত্রী বলেন, কোনো শিক্ষার্থীর যেন ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার সম্ভাবনা না থাকে আমরা সে জন্য সুনির্দিষ্ট ব্যবস্থা নেই।
 
এসময় উপস্থিত ছিলেন শিক্ষা উপমন্ত্রী মুহিবুল হাসান চৌধুরী, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব মো. সোহরাব হোসাইন, কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগের সচিব মো. আলমগীর।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৪১০ ঘণ্টা, মে ০৬, ২০১৯
এমআইএইচ/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।