ঢাকা, সোমবার, ৮ আশ্বিন ১৪৩১, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৯ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

শিক্ষকদের গবেষণা কমে যাওয়ায় আক্ষেপ করেন প্রধানমন্ত্রী

ইউনিভার্সিটি করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১২২ ঘণ্টা, জুন ২৮, ২০১৯
শিক্ষকদের গবেষণা কমে যাওয়ায় আক্ষেপ করেন প্রধানমন্ত্রী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূতত্ত্ব বিভাগ চত্বরে বিভাগের ৭০ বছর পূর্তি উদযাপন

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়: শিক্ষকদের গবেষণা কমে যাওয়ায় মন্ত্রিসভার বৈঠকে প্রায়ই প্রধানমন্ত্রী আক্ষেপ করেন বলে জানিয়েছেন পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান।

শুক্রবার (২৮ জুন) দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূতত্ত্ব বিভাগ চত্বরে বিভাগের ৭০ বছর পূর্তি উদযাপনে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় একথা জানান তিনি। দিনব্যাপী এ অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান।


 
বিভাগীয় চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. কাজী মতিন উদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ সচিব আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আর্থ অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্সেস অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. এএসএম মাকসুদ কামাল এবং ভূতত্ত্ব অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি অধ্যাপক ড. এএএম শামসুর রহমান। অনুষ্ঠানে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন বিভাগের সর্বজ্যেষ্ঠ শিক্ষক অধ্যাপক ড. আসম. উবাইদউল্লাহ।
 
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বাঙালি জাতির শীর্ষের অবস্থান করে জ্ঞান-বিজ্ঞানের আচ্ছাদনে বাংলাদেশকে ঢেকে রাখছে উল্লেখ করে মন্ত্রী এমএ মান্নান বলেন, আমরা যখন ক্যাবিনেটে বসি প্রায়শই কথায় কথায় (যিনি পরিচালনা করেন) প্রধানমন্ত্রী আক্ষেপ করেন (আমি বিনীতভাবে বলছি শিক্ষকদের), আমাদের এখানে গবেষণা কম হচ্ছে কেন? প্রায়ই বলেন কেন আমরা গবেষণা করছি না। আমাদের বলেন যেখানে আছেন বিভাগগুলোতে গবেষণায় যাতে অর্থ পায়, সহযোগিতা পায়, আমরা সহযোগিতা করতে চাই।
 
তিনি বলেন, আপনারা কোনো প্রস্তাব নিয়ে আসেন, আপগ্রেড করার জন্য আপনাদের বিশ্বের সঙ্গে যোগাযোগ আছে আমি জানি, কিন্তু এটাকে আরও শক্তিশালী করার জন্য প্রস্ফুটিত করার জন্য যদি সহায়তা, অর্থের প্রয়োজন হয় আমি দায়িত্ব নিয়ে বলতে পারি প্রধানমন্ত্রী এ বিষয়ে কোনো কোনো গাফলতি করবেন না। তিনি অত্যন্ত উদার। বিশ্ববিদ্যালয় থেকে যখন কোনো কাগজ যায় সেটি আমরা আলাদা সম্মানের সঙ্গে ‘ডিল’ করি। আমরা মনেকরি এর ফলে জাতি গঠনের কাজে আমরা অংশ নিয়েছি। এই বিভাগ থেকে ভালো প্রকল্পের প্রস্তাব আসবে বলে প্রত্যাশা করেন তিনি।
 
ভূতত্ত্ব বিভাগ নিয়ে মন্ত্রী বলেন, নদীভাঙন, উপকূল ভাঙনের এদেশে আপনাদের বিভাগের প্রয়োজনীয়তা নতুন করে বলার দরকার নেই। আপনাদের অনেক অবদান আছে। বিশেষ করে গ্যাস, তেল ও অন্যান্য খনিজসম্পদে আপনারা সরাসরি অবদান রাখতে পারবেন।
 
প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেন, বাংলাদেশে শিল্পক্ষেত্রে একটা বিপ্লব হয়ে গেছে। এটার পেছনে ভূতত্ত্ববিদদের অবদান রয়েছে। আপনাদের আবিষ্কারের কারণে বাংলাদেশ সোনার বাংলা হতে যাচ্ছে। ভূতত্ত্ববিদদের কারণে আমরা গ্যাস আবিষ্কার করেছি, কয়লার খনি পেয়েছি। এখন শুনছি বালুর মধ্যে খনিজ পদার্থ। ইতোমধ্যে আমরা সিলিকন নিচ্ছি। বিশাল এ সম্ভাবনার দ্বারকে বড় করতে পারবেন আপনারা।
 
অধ্যাপক এএসএম মাকসুদ কামাল বলেন, একটি জাতির বিকাশ পাশপাশি এসডিজি বাস্তবায়নে ভূতত্ত্বের মতো একটি বিষয়কে আরো আধুনিক না করা হয়, এতে যন্ত্রপাতি আরো সমৃদ্ধি না করা হয় এবং জাতীয় উন্নতির যে ক্ষেত্রগুলোতে ভূতত্ত্ব বিভাগের শিক্ষার্থীরা মেধা ও শ্রমকে নিয়োগ করে সেভাবে অবদান রাখতে পারার মতো করে গড়ে তোলা না হয় তাহলে প্রকৃত অর্থে ক্ষতিগ্রস্ত হবে রাষ্ট্র, রাষ্ট্রের জনগণ যারা সেবা পাওয়ার মালিক।
 
উদ্বোধনকালে ঢাবি উপাচার্য অধ্যাপক আখতারুজ্জামান বলেন, জায়গাটি অনেক আবেগের, ভালোবাসার। সে জায়গায় আপনারা মিলিত হয়েছেন। যে বিভাগের অ্যালমানইয়ের সঙ্গে সম্পৃক্ততা যত বেশি সেই বিভাগ তত সমৃদ্ধ।  

এসময় তিনি দেশ ও জাতির সার্বিক উন্নয়ন ও অগ্রগতির জন্য ভূতত্ত্ব বিভাগ বাস্তবমুখী বিভিন্ন শিক্ষা ও গবেষণা কার্যক্রম অব্যাহত রাখবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন। দিনব্যাপী অনুষ্ঠানমালার মধ্যে রয়েছে আলোকচিত্র প্রদর্শনী, স্মৃতিচারণ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।

বাংলাদেশ সময়: ১৭২০ ঘণ্টা, জুন ২৮, ২০১৯
এসকেবি/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।