রাজশাহী: রাজশাহী সিটি করপোরেশন (রাসিক) নির্বাচন বয়কট করেছিল ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ। বরিশাল ও খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচনের পর নানান অভিযোগ তুলে ১২ জুন নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ায় দলটি।
২১ জুনের নির্বাচনে রাজশাহী সিটি করপোরেশনের ৬ষ্ঠ মেয়র হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি মণ্ডলীর সদস্য এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন। মাঝখানে এক মেয়াদ বাদ দিয়ে তৃতীয়বারের মতো মেয়র নির্বাচিত হন তিনি।
এর আগে দুই বার মেয়র ছিলেন তিনি। এবারের সিটি করপোরেশন নির্বাচনে তিনি পেয়েছেন ১ লাখ ৬০ হাজার ২৯০ ভোট। আর তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী হয়েছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রতীক হাত পাখার মেয়র প্রার্থী মাওলানা মুরশিদ আলম ফারুকী পেয়েছেন ১৩ হাজার ৪৮৩ ভোট। দলটি নির্বাচনের আগেই বয়কট করলেও নির্বাচন কমিশনের বিধি অনুযায়ী তার প্রতীক ও নাম ছিল ইভিএমে। তাই ভোট বর্জন করলেও দলটির অনুসারী ও সমর্থকরা হাত পাখায় ভোট দিয়েছেন।
রাজশাহী সিটি করপোরেশন নির্বাচনের রিটার্নিং অফিসার মো. দেলোয়ার হোসেন বুধবার (২১ জুন) রাত ৯টার দিকে বেসরকারিভাবে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটনকে বেসরকারিভাবে মেয়র ঘোষণা করেন।
রাজশাহীর ৩০টি ওয়ার্ডে মোট ১৫৫ কেন্দ্রের ঘোষিত ফলাফল অনুয়ায়ী অপর দুই মেয়র প্রার্থীর মধ্যে জাতীয় পার্টির মেয়র প্রার্থী সাইফুল ইসলাম স্বপন লাঙ্গল প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ১০ হাজার ২৭২ ভোট। আর জাকের পার্টির মেয়র প্রার্থী লতিফ আনোয়ার গোলাপফুল প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ১১ হাজার ৭১৩ ভোট। বুধবার (২১ জুন) সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত টানা ভোটগ্রহণ চলে।
রাজশাহী সিটি করপোরেশন নির্বাচনের রিটার্নিং অফিসার মো. দেলোয়ার হোসেন আরও জানান, রাজশাহী সিটিতে এবার মোট ভোটার সংখ্যা ৩ লাখ ৫১ হাজার ৯৮২ জন। মোট ভোটারের মধ্যে পুরুষ ভোটার সংখ্যা ১ লাখ ৭১ হাজার ১৬৭ জন এবং নারী ভোটার ১ লাখ ৮০ হাজার ৮০৯ জন এবং তৃতীয় লিঙ্গের (হিজড়া) ভোটার সংখ্যা ৬ জন। ভোট কাস্টিং হয়েছে ৫৬ দশমিক ২০ শতাংশ।
বাংলাদেশ সময়: ১১৫০ ঘণ্টা, জুন ২২, ২০২৩
এসএস/এএটি