ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১১ পৌষ ১৪৩১, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

নির্বাচন ও ইসি

ভাণ্ডারিয়া পৌর ভোট: জেপি প্রার্থীকে সতর্ক করল ইসি

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৪৬ ঘণ্টা, জুলাই ১৩, ২০২৩
ভাণ্ডারিয়া পৌর ভোট: জেপি প্রার্থীকে সতর্ক করল ইসি

ঢাকা: পিরোজপুরের ভাণ্ডারিয়া পৌরসভার জাতীয় পার্টি-জেপি মনোনীত বাইসাইকেল প্রতীকের প্রার্থী মো. মহিবুল হোসেনকে (মাহিম) সতর্ক করল নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

বৃহস্পতিবার (১৩ জুলাই) বিকেলে নির্বাচন ভবনে অনুষ্ঠিত শুনানিতে এই নির্দেশনা দেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল।

তাকে আচরণবিধি ভঙ্গের দায়ে তলব করা হয়েছিল।

শুনানির শুরুতে ইসি সচিব বিভিন্ন পত্রিকার কাটিং এবং টিভির ভিডিও ফুটেজ আচরণবিধি ভঙ্গের চিত্র তুলে ধরেন। পরবর্তীতে কমিশন থেকে প্রার্থীর কাছে ব্যাখ্যা চাওয়া হয়।

এ সময় মহিবুল লিখিত বক্তব্যে বলেন, জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও রিটার্নি অফিসারের কাছ থেকে কারণ দর্শানোর নোটিশ প্রাপ্তির পর আমি যথাসময়ের মধ্যেই আমার ব্যাখ্যা দিয়ে জবাব দাখিল করি। আমার জবাবে আমি স্পষ্ট করে আমার ব্যাখ্যা দিয়েছি এবং বলেছি যে, তর্কিত ঘটনায় আমার সম্পৃক্ততা নেই এবং সেই ঘটনাটি একজন সাবেক মন্ত্রী এবং সংসদ সদস্যের তার নিজের সংসদীয় এলাকায় ব্যক্তিগত সফরমাত্র এবং এখানে আমার কোনো সম্পৃক্ততা নেই এবং আমি নিজে উপস্থিতও ছিলাম না। যে ভিডিও ফুটেজের কথা উল্লেখ্য ছিলো অভিযোগে, সেটিও ভান্ডারিয়া পৌরসভার অন্তর্গত কোনো স্থানে ধারণ করা নয়। অতএব আমাকে অভিযোগের দায় থেকে নিস্তার দিতে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও রিটার্নিং অফিসারের কাছে আমি সবিনয় আবেদন করেছিলাম। জেলা কর্মকর্তা বিষয়টি নিষ্পত্তিও করেছেন। আমাকে সতর্ককরণপূর্বক আচরণবিধি মেনে প্রচার-প্রচারণার জন্য অনুরোধ করেন, যা আমি অক্ষরে অক্ষরে পালন করছি এবং ভবিষ্যতেও পালন করে যেতে বদ্ধপরিকর।

তিনি আরও বলেন, যেদিন জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও রিটার্নিং অফিসার আমাকে সতর্ক করে আদেশ দিলেন; ওই দিন ১২ জুলাই আমি নির্বাচন কমিশন সচিবালয় থেকে একটি পত্র প্রাপ্ত হই। যেখানে ওই একই ঘটনা এবং এর প্রেক্ষিতে রিটার্নিং অফিসার, জেলা প্রশাসক এবং পুলিশ সুপারের তদন্তের ভিত্তিতে শোডাউনের সত্যতা পাওয়া গিয়েছে উল্লেখ করে আমাকে কমিশনে সশরীরে উপস্থিত হয়ে ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়। কথিত অভিযোগের ব্যাপারে একবার সম্পূর্ণ আইনি প্রক্রিয়া তথা অভিযোগকারীর অভিযোগপত্র এবং তার প্রেক্ষিতে আমার জবাব এবং উভয় বিবেচনান্তে জেলা নির্বাচন অফিসার ও রিটার্নিং অফিসার, তার সুচিন্তিত বিচারিক বিবেচনায় নির্বাচনের কমিশনের পক্ষে আমাকে ‘নির্বাচন চলাকালে (নির্বাচন পূর্ব সময়) সতর্ককরণ পূর্বক আচরণবিধি মেনে প্রচার প্রচারণার জন্যে অনুরোধ’ করেছেন।

অতএব যে অভিযোগে একবার সম্পূর্ণ পদক্ষেপ অনুসরণ করে আধাবিচারিক সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, সেই একই ঘটনার জন্যে কথিত তদন্ত রিপোর্টের (যার কোন কপি আমাকে সরবরাহ করা হয়নি) ভিত্তিতে পুনরায় বিচার প্রক্রিয়ায় হতাশ হয়েছি। কথিত অভিযোগ প্রত্যাহার করে ওই অভিযোগ থেকে নিস্তার দিতে আবেদন করেন তিনি।

প্রার্থী আরও বলেন, জেপি চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন মঞ্জু প্রতিমাসেই একবার করে তার নির্বাচনী এলাকায় যান। গাবখান সেতু এলাকা থেকে তার বাসভবন থেকে বাসা পর্যন্ত বরাবরই নেতাকর্মীরা শোডাউন করে নিয়ে আসেন। তবে এবার নির্বাচন থাকায় তিনি গাবখান থেকে রাজাপুর পর্যন্ত আসার পর তার গাড়ি থামিয়ে দেন। বহর থেকে নেতাকর্মীদের আলাদা হওয়ার নির্দেশ দেন। যে শোডাউনের কথা বলা হচ্ছে, সেটি নির্বাচনী এলাকায় নয়। এটি নির্বাচনী এলাকার বাইরে।

প্রার্থী আরও বলেন, আমার কোনো আচরণবিধি ভঙ্গ হয়নি। আগামীতেও করব না। বরং প্রতিপক্ষ প্রার্থী প্রতিনিয়ত বিধিভঙ্গ করে চলেছেন। এ বিষয়ে আমরা একাধিক অভিযোগ দিয়েছি।

ব্যাখ্যার জবাবে নির্বাচন কমিশনার আনিছুর রহমান বলেন, আপনি নিজে উপস্থিত না থাকলেও আপনার পক্ষে কেউ মিছিল বা শোডাউন করলে তার দায়দায়িত্ব আপনার ওপরই বর্তায়। এমপি মহোদয় ভান্ডারিয়ার ভোটার সেহেতু তাকে এলাকার বাইরে আমরা থাকতে বলতে পারি না। তিনি যাতে কোনভাবেই আচরণবিধি ভঙ্গ না করেন, সেই বিষয়টি খেয়াল রাখবেন।

শুনানির শেষে ইসির পক্ষ থেকে আচরণবিধি মেনে চলার বিষয়ে লিখিত দিতে বলা হয়। জেপি প্রার্থী আচরণবিধি মেনে চলবেন মর্মে লিখিত দেন।

আগামী ১৭ জুলাই ভাণ্ডারিয়া পৌরসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

বাংলাদেশ সময়: ২১৪৪ ঘণ্টা, জুলাই ১৩, ২০২৩
ইইউডি/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।