ঢাকা: দায়িত্বকাল শেষ হওয়ার পর পেনশন সুবিধা চেয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কেএম নূরুল হুদার নেতৃত্বাধীন নির্বাচন কমিশনের (ইসি) প্রস্তাব ‘অযৌক্তিক’ ছিল। তাই সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়ালের নেতৃত্বাধীন কমিশন ওই প্রস্তাবে একমত নয় বলে আইন মন্ত্রণালয়কে জানিয়েছে।
সোমবার (২৮ আগস্ট) নির্বাচন ভবনে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর এ কথা বলেন।
নির্বাচন কমিশনারদের সুযোগ-সুবিধার কোনো পরিবর্তন আসছে কি-না-এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ১৯৮৩ সালে যে অধ্যাদেশ আছে, তা অনুযায়ী সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের বিচারপতির সমান বেতন পান প্রধান নির্বাচন কমিশনার এবং হাইকোর্টের বিচারপতির সমান অন্যান্য নির্বাচন কমিশনাররা সুযোগ সুবিধা পান। এছাড়াও অন্যান্য সুযোগ সুবিধাগুলো সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতির সমান পাবেন।
কেএম নূরুল হুদা কমিশনের সময়কার এই ইসি সচিব বলেন, গত কমিশন একটি খসড়া আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছিল। বর্তমান কমিশনের মতামত কী সেটা জানার জন্য মন্ত্রণালয় আবার সেটা ফেরত পাঠিয়েছে। তখন আমরা দেখলাম যে, খসড়া আইনে পেনশনের বিষয়টা অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিল। পেনশন বিষয়ে আমরা একমত না বলে জানিয়েছি।
তিনি বলেন, ১৯৮৩ সালে সামরিক আইনের অধ্যাদেশ ছিল, সেটা বাতিল করা হয়েছে। সে অনুযায়ী সম্মানী ও ভাতার বিষয়টি কেবল বাংলায় করে নেওয়া হয়েছে। নতুন করে সংযোজন-বিয়োজন কিছুই হবে না। অধ্যাদেশে যা ছিল তা-ই থাকবে।
কেএম নূরুল হুদা কমিশনের সময় একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। সেই নির্বাচনের পর তারা সুযোগ-সুবিধা চেয়ে প্রয়াত প্রধানমন্ত্রী রাজনৈতিক উপদেষ্টা এইচটি ইমামের সঙ্গে বৈঠকও করেছিলেন। পরবর্তীতে তারা আইন সংশোধনের ওই উদ্যোগ নিয়েছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৬২১ ঘণ্টা, আগস্ট ২৮, ২০২৩
ইইউডি/এসআইএ