ঢাকা: আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের অপরাধ তদন্ত করে আমলে নেওয়ার জন্য ৩০০ বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। ভোটের ফলাফল গেজেট আকারে প্রকাশ করা পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করবে এই কমিটি।
ইসি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ইতোমধ্যে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে আইন ও বিচার বিভাগের সচিবকে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের সঙ্গে আলোচনা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে নির্দেশনা পাঠানো হয়েছে। প্রতিটি আসনের জন্য গঠিত এই কমিটিতে যুগ্ম জেলা জজ প্রয়োজনের সিনিয়র সহকারী জজ দায়িত্ব পালন করবেন।
আইন ও বিচার বিভাগের সচিবকে পাঠানো নির্দেশনায় বলা হয়েছে, গণপ্রতিনিধিত্ব আইনে ১১ (১) অনুচ্ছেদের ক্ষমতাবলে আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য ১৫ নভেম্বর তফসিল ঘোষণা করা হয়েছে। ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, আগামী ০৭ জানুয়ারি (রোববার) ভোটের দিন ধার্য করা হয়েছে।
আইন অনুযায়ী জাতীয় সংসদের সাধারণ আসনের নির্বাচনে নির্বাচন-পূর্ব অনিয়ম প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটি (Electoral Enquiry Committee) গঠন করার বিধান রয়েছে।
এই অনুসন্ধান কমিটিসমূহ ‘নির্বাচন-পূর্ব সময়’ অর্থাৎ নির্বাচন কমিশন কর্তৃক নির্বাচনী তফসিল ঘোষণার দিন থেকে নির্বাচনের ফলাফল সরকারি গেজেটে প্রকাশের তারিখ পর্যন্ত সংসদ নির্বাচনে রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীর আচরণ বিধিমালার বিধি ১৭-এর বিধান অনুযায়ী নির্বাচনী অপরাধ, নির্বাচনী আচরণবিধি এবং অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানের প্রস্তুতি বা পরিচালনায় বাধাগ্রস্ত বা ব্যাহত করে এমন ‘নির্বাচন-পূর্ব অনিয়ম’ সংক্রান্ত বিষয়াদির অনুসন্ধান করে নির্বাচন কমিশনকে অনুসন্ধানের পরবর্তী ৩ (তিন) দিনের মধ্যে অবহিত করবে।
নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার তারিখ থেকে নির্বাচনের ফলাফল সরকারি গেজেটে প্রকাশের সময় পর্যন্ত নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটির কর্মকর্তারা সার্বক্ষণিক নির্বাচনী দায়িত্ব পালন করবেন মর্মে নির্বাচন কমিশন থেকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
এই অবস্থায়, আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে নির্বাচন-পূর্ব অনিয়ম প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে ৩০০টি সংসদীয় আসনে ০১ (এক) জন যুগ্ম জেলা জজ বা প্রয়োজনবোধে সিনিয়র সহকারী জজ বিশিষ্ট ৩০০টি নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটি (Electoral Enquiry Committee) গঠন করা প্রয়োজন।
সিইসি ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ সময় ৩০ নভেম্বর, মনোনয়নপত্র বাছাই ১ থেকে ৪ ডিসেম্বর, রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে কমিশনে আপিল দায়ের ও নিষ্পত্তি ৬ থেকে ১৫ ডিসেম্বর, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ১৭ ডিসেম্বর। রিটার্নিং কর্মকর্তারা প্রতীক বরাদ্দ করবেন ১৮ ডিসেম্বর। নির্বাচনী প্রচার চলবে ৫ জানুয়ারি সকাল ৮টা পর্যন্ত। আর ভোটগ্রহণ হবে ৭ জানুয়ারি (রোববার)।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৪৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৬, ২০২৩
ইইউডি/এসআইএ