ঢাকা : পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন বিদেশি কে কী বলল, সেটা নিয়ে আমি আগ্রহী নই, দেশি কে কী বলেছে সেটাতে আমি বিশ্বাসী। রোববার (৭ জানুয়ারি) রাজধানীর হোটেল সোনারগাঁওয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপে তিনি এ কথা বলেন।
পশ্চিমা দেশগুলো বাংলাদেশের এবারের নির্বাচন কীভাবে নেবে সেটি পররাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে জানতে চান সাংবাদিকরা। জবাবে ড. মোমেন বলেন, পশ্চিমা দেশ নিয়ে আপনি (প্রশ্ন করা সাংবাদিককে) এত চিন্তিত কেন? আপনার নিজের প্রতি বিশ্বাস নাই। জনগণ সরকারকে ভোট দিয়েছে এটাই তো সবচেয়ে বড়। আমরা তো জনগণে বিশ্বাস করি। আমরা কোনো পশ্চিমার ওপর বিশ্বাস…।
ড. মোমেন বলেন, আমরা যখন একাত্তর সালে স্বাধীনতা পেয়েছিলাম, পশ্চিমা বিশ্ব আমাদের সমর্থন দিয়েছিল? একমাত্র ইংল্যান্ড ছাড়া পশ্চিমা কোনো দেশ সমর্থন দেয়নি। কিন্তু আমরা তো অর্জন করেছি। দেশের জনগণ সমর্থন দিলো কি না, এটাই বড় বিষয়। বিদেশি কে কী বলল সেটা নিয়ে আমি আগ্রহী নই, দেশি কে কী বলেছে সেটাতে আমি বিশ্বাসী।
প্রতিকূল পরিবেশের মধ্যে ভোট দেওয়ায় জনগণের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান ড. মোমেন। তিনি বলেন, বিএনপি অমুক করবে, তমুক করবে। একদিন আগে ট্রেন জ্বালাইয়া দিলো। চারজন লোককে মারল। একটা আতঙ্ক ছিল। কিন্তু লোক তো ঠিকই ভোট দিয়েছে। এই প্রতিকূল পরিবেশে ভোট দিয়েছে, সমর্থন দিয়েছে।
নির্বাচনে কোথাও কারচুপি হয়নি জানিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, নির্বাচনে কোথাও কোনো কারচুপি হয়নি। কোথাও নকল ভোট হয়নি। নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য হয়েছে। নির্বাচন কমিশন যথেষ্ট পদক্ষেপ নিয়েছে। কেউ বলতে পারবে না আগে ভোট হয়ে গেছে। এক পয়সার ছাড় দেয়নি নির্বাচন কমিশন।
তিনি বলেন, তবে ভোটদানে প্রসেস স্লো ছিল। আমি দেখেছি, প্রধানমন্ত্রী ভোট দিতেও তিন মিনিট লেগেছে। আমার যারা ভোটার তাদের বেশিরভাগের ভোট দিতে প্রায় আধঘণ্টা সময় লেগেছে। আবার সার্ভার ডাউন হয়ে গেছে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমেরিকা একটা সেন্টারে গেছে সকাল ছয়টায়। তখন তো কোনো লোকজন ছিল না। আমি শুনেছি তারা এত সকালে গেছে, কেউ রাতের অন্ধকারে ব্যালট বক্স স্টাপিং করেছে কি না। আপনি এটা বিশ্বাস করতে পারেন, খুব আশ্চর্যজনক!
বিদেশি পর্যবেক্ষক দলের সঙ্গে বিএনপি প্রসঙ্গে আলোচনা হয়েছে বলে জানান মোমেন। তিনি বলেন, অপজিশন পার্টির সঙ্গে যে তিক্ততা সৃষ্টি হয়েছে, ভবিষ্যতে আমরা তিক্ততা কমানোর বিষয়ে কী মনে করি সেটা তারা জানতে চেয়েছে। অন্যথায় তারা কোনো মন্তব্য করেনি। বিরোধীদের সঙ্গে তিক্ততা কমানো নিয়ে যদি ইস্যু থাকত…কারণ বিএনপি তো কোনো মেনোফেসস্টো নিয়ে আসে নাই; যেই ইস্যুও ওপর আমরা আলোচনা করতে পারি।
তিনি বলেন, তাদের একটি ইস্যু, প্রধানমন্ত্রী অবশ্যই পদত্যাগ করতে হবে। দুনিয়ায় এ ধরনের কোনো পদ্ধতি আছে? এগুলো হলো ইচ্ছে করে বলা যেন কোনো ধরনের আলাপ-আলোচনার সুযোগ না থাকে। আমেরিকায় বাইডেন সাহেব রিজাইন করবে, তারপর নির্বাচন হবে! উনি কি রিজাইন করবে?
বিরোধী দল কে হবে জানতে চাইলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সেটা দেখি কারা জিতে আসে। আগেভাগে বলবেন কেন? আমরা এখনও ফলাফল পাইনি।
বাংলাদেশ সময় : ২১২৪ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৭, ২০২৪
টিআর/এমএইচবি