ঢাকা, রবিবার, ১৪ পৌষ ১৪৩১, ২৯ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

নির্বাচন ও ইসি

জামানত হারাচ্ছেন জয়পুরহাটের ১১ প্রার্থী

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩৪৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৯, ২০২৪
জামানত হারাচ্ছেন জয়পুরহাটের ১১ প্রার্থী ওপরের বাঁ থেকে আব্দুর রাজ্জাক, আবু সাইদ নুরুল্লাহ, আবুল খায়ের, আতাউর, আবু সাইদ, মাসুম, নয়ন, রোকোনুজ্জামান, মোয়াজ্জেম, রাইহান ও জহুরুল

জয়পুরহাট: দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জয়পুরহাট জেলার দুটি আসনে ১৫ জন সংসদ সদস্য প্রার্থী হয়েছিলেন। এর মধ্যে জাতীয় পার্টির ২ জন, তৃণমূল বিএনপির ১ জন, ন্যাশনাল পিপলস পার্টির ২ জন, জাতীয় সমাতান্ত্রিক দলের (জাসদ) ১ জন, বাংলাদেশ কংগ্রেসের ১ জন ও স্বতন্ত্র প্রার্থী ৪ জনসহ ১১ জনই জামানত হারাচ্ছেন।

সোমবার (০৮ জানুয়ারি) জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে প্রাপ্ত ফলাফল বিশ্লেষণ করে এ তথ্য পাওয়া গেছে।

নির্বাচনের বিধি অনুযায়ী, নির্বাচনে কোনো আসনে প্রদত্ত সর্বমোট ভোটের ৮ ভাগের ১ ভাগ বা ১২ দশমিক ৫ শতাংশ ভোট না পেলে জামানত বাজেয়াপ্ত হয়। জামানতের টাকা সরকারের অনুকূলে বাজেয়াপ্ত করা হয়।

রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, জয়পুরহাট-১ (সদর ও পাঁচবিবি) আসনে প্রার্থী ছিলেন ৭ জন, এর মধ্যে ৫ জনই জামানত হারাচ্ছেন। এ আসনে মোট ভোটার ৪ লাখ ৪৩ হাজার ৭২৭ জন। ১৫১টি কেন্দ্রে ভোট পড়েছে ১ লাখ ৬৩ হাজার ৯০০টি। এর ৮ ভাগের ১ ভাগ হচ্ছে ২০ হাজার ৪৮৭ দশমিক ৫ ভোট, যা পাননি ৫ জন প্রার্থী।

জয়পুরহাট-০১ আসনে জামানত হারানো প্রার্থীরা হলেন- স্বতন্ত্র ট্রাক প্রতীকের প্রার্থী একেএম রায়হান মণ্ডল মনু (৬ হাজার ৬২৬ ভোট), স্বতন্ত্র ঈগল প্রতীকের প্রার্থী মো. জহুরুল ইসলাম (৫ হাজার ৪৬০ ভোট), জাতীয় পার্টির লাঙ্গল প্রতীকের প্রার্থী একেএম মোয়াজ্জেম হোসেন (১ হাজার ৩২৯ ভোট), ন্যাশন্যাল পিপলস্ পার্টির আম প্রতীকের প্রার্থী মো. রুকুনুজ্জামান (৫০৯ ভোট) ও তৃণমূল বিএনপির সোনালী আঁশ প্রতীকের প্রার্থী মো. মাসুম (৪৭০ ভোট)।

এখানে আওয়ামী লীগের প্রার্থী সামছুল আলম দুদু (নৌকা প্রতীক) ৯৬ হাজার ১ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী আব্দুল আজিজ মোল্লা (কাঁচি প্রতীক) পেয়েছেন ৪৭ হাজার ৭৭৬ ভোট। এ আসনে ৪৮ হাজার ২২৫ ভোটের ব্যবধানের নৌকার প্রার্থী বিজয়ী হয়ে টানা তৃতীয় বারের মতো সংসদ সদস্য পদে নির্বাচিত হয়েছেন।  

আক্কেলপুর, ক্ষেতলাল ও কালাই উপজেলা নিয়ে গঠিত জয়পুরহাট-২ আসনে ৮ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। এর মধ্যে ৬ জন প্রার্থী তাদের জামানত হারাচ্ছেন। এ আসনে মোট ভোটার ৩ লাখ ৩৫ হাজার ৯৭২ জন। ১০৩টি কেন্দ্রে ভোট পড়েছে ১ লাখ ৯৪ হাজার ৩৩৯টি। এর ৮ ভাগের ১ ভাগ হচ্ছে ২৪ হাজার ২৯২ দশমিক ৩৭৫ ভোট, যা পাননি ৬ জন প্রার্থী।

এ আসনটিতে জামানত হারানো প্রার্থীরা হলেন- জাতীয় পার্টির লাঙ্গল প্রতীকের প্রার্থী মো. আবু সাইদ নুরুল্লাহ (২ হাজার ৪১ ভোট), স্বতন্ত্র ট্রাক প্রতীকের প্রার্থী মো. আতোয়ার রহমান মণ্ডল (৭৯৫ ভোট), ন্যাশলাল পিপলস্ পার্টির আম প্রতীকের প্রার্থী মো. আবু সাঈদ (৭৫২ ভোট), জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) মশাল প্রতীকের প্রার্থী আবুল খায়ের মো. সাখাওয়াত হোসেন (৫৩৪ ভোট), স্বতন্ত্র ঈগল প্রতীকের প্রার্থী মো. আব্দুর রাজ্জাক সরদার (৩৬২ ভোট) এবং বাংলাদেশ কংগ্রেসের ডাব প্রতীকের প্রার্থী মো. নয়ন (২০৮ ভোট)।

জয়পুরহাট-০২ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন (নৌকা প্রতীক) ১ লাখ ৫১ হাজার ১২৮ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী গোলাম মাহফুজ চৌধুরী অবসর (কাঁচি প্রতীক) পেয়েছেন ৩২ হাজার ৫৪১ ভোট।  

বাংলাদেশ সময়: ১৩৩৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৮, ২০২৪
এসআই
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।