ঢাকা: জাতিসংঘের উন্নয়ন কর্মসূচি (ইউএনডিপি) আগামী জাতীয় নির্বাচনে প্রযুক্তিগত ও কারিগরি সহায়তা দেবে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনের সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ।
মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) নির্বাচন ভবনে সংস্থাটির সঙ্গে বৈঠক শেষে তিনি সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
আখতার আহমেদ বলেন, আমরা ইউএনডিপির কাছে নির্বাচনি প্রক্রিয়ায় সহায়তা চেয়েছি হার্ডওয়্যার, সফটওয়্যার ইত্যাদি বিষয়ে। তারা এই বিষয়টা পর্যালোচনার জন্য এসেছিলেন। আমাদের সঙ্গে কথা বললেন, এখন অংশীজনের সঙ্গে কথা বলে আবার ১০ দিনের ভেতরে একটা প্রস্তাবনা নিয়ে আবার আসবেন। মূলত আজকে কাজের পরিধি ঠিক করে নেওয়ার বৈঠক ছিল। ১০ দিনের মাথায় আবার বসবো। তারা আমাদের এখানে একটা অফিস করেছেন। সেখানে তারা কাজ করবেন।
এক প্রশ্নের জবাবে ইসি সচিব আরও বলেন, ভোটার তালিকা হালনাগাদের পর ভোটার তালিকা সাধারণিকিকরণ করার প্রক্রিয়ায় সহায়তা করবো। এছাড়া হালনাগাদ কার্যক্রমে আমাদের কিছু উপকরণের ঘাটতি আছে, সেগুলো দেওয়ার জন্য বলেছি। তারা ঘরে ঘরে তো গিয়ে তো তথ্য আনবে না। সে তথ্য আমরা আনার পর কাস্টমাইজেশনে ওরা সহায়তা করবে। সহায়তাটা কারিগরি। হার্ডওয়্যার, সফটওয়্যার, প্রশিক্ষণ, দক্ষতা উন্নয়ন, যোগাযোগ, এসডিজির কিছু গোল আছে সেগুলোয় তারা সহায়তা করবে। আজকে শুরু হলো।
তিনি বলেন, প্রযুক্তিগত বিষয়টা হচ্ছে সফটওয়্যারের কোনো উন্নয়ন যদি করা যায়। তবে ইভিএম নিয়ে কোনো সহায়তা নিয়ে আলোচনা হয়নি। কারিগরি সাপোর্ট, প্রশিক্ষণ সচেতনতা বৃদ্ধিতে সাপোর্ট চেয়েছি। আরও মাইক্রো লেভেলে ভবিষ্যতে জানতে চাইবো। অর্থনৈতিক কোনো সহায়তা চাওয়া হয়নি।
এর আগে ইউএনডিপির আবাসিক সমন্বয়কারী গোয়েন লুইসের নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যদের প্রতিনিধি প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ অন্য নির্বাচন কমিশনার ও ইসি সচিবের সঙ্গে বৈঠক করেন।
গোয়েন লুইস সাংবাদিকদের বলেন, নির্বাচনে সহায়তা দেওয়ার জন্য জাতিসংঘে একটি চিঠি দিয়েছিল নির্বাচন কমিশন। তার পরিপ্রেক্ষিতে আমরা এসেছি। এজন্য আমাদের এখন প্রয়োজনীয় মূল্যায়ন করতে হবে। এক্ষেত্রে অংশীজন, সুশীল সমাজ, বিশেষজ্ঞ, রাজনৈতিক দলের সঙ্গে কথা বলবো মূল্যায়ন শেষ করার আগেই। এসবের পর ইউএনডিপি কি সহায়তা করতে পারে, সেটি সুপারিশ করা হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬০৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৪, ২০২৫
ইইউডি/এমজে