বৃহস্পতিবার (২৯ মার্চ) বিকেলের দিকে দুই মেয়র প্রার্থী নির্বাচন বর্জন করেন।
পরে সাজাউর রাজা সুমনের পক্ষে জেলা শহরের পুরাতন বাস্টেশনে বিএনপির অস্থায়ী কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন বিএনপি নেতারা।
সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করা হয়, আওয়ামী লীগের প্রার্থী প্রশাসনের সহযোগিতায় আগে থেকে জাল ভোট দিয়ে বাক্স ভরে রেখেছে। এটা নির্বাচনের নামে তামাশা করেছে। রাতভর সরকার দলীয় নেতাকর্মীরা কেন্দ্রে গিয়ে ব্যালট পেপারে সিল মেরেছে। সাধারণ ভোটারা ভোট দেয়ার আগেই ভোট দেয়ার আগেই ব্যালট পেপার শেষ হয়ে গেছে। প্রশাসন ও দলীয় নেতাকর্মীদের সহযোগিতায় জগণের ওপর যে জুলুম চালিয়েছে তা ন্যাক্কারজনক। এমন প্রহসনের নির্বাচন বর্জন করেছে পৌরবাসী।
জেলা বিএনপির সভাপতি কলিম উদ্দিন মিলন বাংলানিউজকে বলেন, সাধারণ ভোটারা যাতে নির্বিঘ্নে সুষ্ঠুভাবে ভোট দিতে পারে সে লক্ষে সেনাবাহিনীর অধীনে পুনরায় নির্বাচন দেয়ার আহ্বান জানান তিনি।
এদিকে, স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী গণিউল সালাদীন তার নিজ বাস ভবনে সংবাদ সম্মেলনে বলেন, সরকার দলীয় প্রার্থীর লোকজন প্রতিটা কেন্দ্র থেকে আমার নির্বাচনী এজেন্টদের বের করে দিয়েছে। বিশেষ করে কেবি মিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও উত্তর আরপিন নগর পৌর প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সরকার দলীয় নেতাকর্মীরা ভোট কেন্দ্রে ঢুকে নৌকা মার্কায় সিল মেরেছে। এভাবে একটি সুষ্ঠ নির্বাচন হতে পারে না। আমি এই নির্বাচন বর্জন করছি।
এ অভিযোগের ব্যাপারে আওয়ামী লীগ প্রার্থী নাদের বখতে সঙ্গে মোবাইলে কয়েক বার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করনেনি।
বাংলাদেশ সময়: ১৭০৩ ঘণ্টা, মার্চ ২৯, ২০১৮
এনটি