এই নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী উপজেলা বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি আবুল কালাম আজাদ জয়ী হওয়ায় এমনটাই মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
আওয়ামী লীগ ও এর বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনের একাধিক নেতাকর্মী ও সমর্থকরা বাংলানিউজকে জানান, এই নির্বাচনে প্রার্থী দেখে নয় বরং মানুষ ভোট দিয়েছেন বঙ্গবন্ধু ও শেখ হাসিনার নৌকা প্রতীককেই।
এর আগে ২০১৬ সালের ইউপি নির্বাচনে ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে আজকের এই আজাদ রফিকুল ইসলাম মুরাদের (সদ্য প্রয়াত চেয়ারম্যান) কাছে পরাজিত হয়েছিলেন।
সেসময় নির্বাচনের আগ মুহূর্তে আওয়ামী লীগের প্রার্থী মুরাদের ওপর হামলা এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছিল আজাদের বিরুদ্ধে। ওই অভিযোগে মোহনগঞ্জ থানায় দ্রুত বিচার আইনে একটি মামলাও করেছিলেন মুরাদ। যা আদালতে এখনও বিচারাধীন।
শুক্রবার (৩০ মার্চ) বিকেলে মোহনগঞ্জের নির্বাচন কর্মকর্তা এ কে এম সাইদুজ্জামান আজাদ বাংলানিউজকে জানান, বৃহস্পতিবার (২৯ মার্চ) অনুষ্ঠিত নির্বাচনে নৌকা প্রতীক নিয়ে ৪৮৭৮ ভোট পেয়ে জয়ী হন আজাদ। আর স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে ৪২৬৬ ভোট পেয়ে পরাজিত হয়েছেন প্রয়াত চেয়ারম্যান মুরাদের স্ত্রী সামিনা সুলতানা। নির্বাচনে তার প্রতীক ছিল ঘোড়া।
প্রসঙ্গত, চলতি বছরের ১১ জানুয়ারি চেয়ারম্যানের দায়িত্বপালনকালে মারা যান রফিকুল ইসলাম মুরাদ। এজন্য এই ইউনিয়নে উপ-নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলো।
বাংলাদেশ সময়: ১৬২২ ঘণ্টা, মার্চ ৩০, ২০১৮
এসআই