নির্দেশনাটি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও পুলিশ সদর দফতরসহ সংশ্লিষ্ট সকল কর্তৃপক্ষকে পাঠানো হয়েছে।
ইসির যুগ্ম সচিব (চলতি দায়িত্ব) ফরহাদ আহাম্মদ খান স্বাক্ষরিত ওই নির্দেশনায় বলা হয়েছে, গাজীপুর ও খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচন শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠানের জন্য বেআইনি অস্ত্র উদ্ধার কার্যক্রম জোরদার করতে হবে।
এদিকে সংখ্যালঘু ও নারী ভোটারদের নিরাপত্তা জোরদারের নির্দেশও দিয়েছে ইসি। সংখ্যালঘু ও নারী ভোটাররা যেন নির্ভয়ে এবং নির্বিঘ্নে ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারে সে বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিয়ে তা প্রচার করার কথাও বলা হয়েছে।
এছাড়া ভিজিল্যান্স ও অবজারভেশন টিম, মনিটরিং টিমসহ আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী সেল গঠনের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলা হয়েছে ওই নির্দেশনায়।
ভিজিল্যান্স ও অবজারভেশন টিম:
এই টিম নির্বাচনী এলাকায় আচরণ বিধি লঙ্ঘন হচ্ছে কিনা তা সরেজমিন পরিদর্শন করবে। এছাড়া বিধি ভঙ্গকারীর বিরুদ্ধে মামলা করাসহ রিটার্নিং কর্মকর্তার মাধ্যমে প্রতি তিনদিন পরপর পর্যবেক্ষণ প্রতিবেদন ইসিতে দাখিল করতে হবে। এই টিমের প্রধান হবেন রিটার্নিং কর্মকর্তা, এতে বিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেটসহ সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তাও দায়িত্ব পালন করবেন।
নির্বাচন মনিটরিং টিম:
রিটার্নিং কর্মকর্তার নেতৃত্বে প্রার্থীদের প্রতিনিধি বা নির্বাচনী এজেন্টের সমন্বয়ে এই টিম গঠন করা হবে। এতে অতিরিক্ত আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা বা সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা সদস্য সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন।
নির্বাচন মনিটরিং টিম প্রতি ৭ দিন পরপর প্রার্থীদের আচরণ বিধি প্রতিপালনের প্রতিবেদন ইসিকে অবহিত করবে।
আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী সেল:
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সংশ্লিষ্টদের নিয়ে এই সেল গঠন করবে। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী সেল পরিস্থিতি অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিয়ে ইসিকে অবহিত করবে।
এ বিষয়ে ফরহাদ আহাম্মদ খান বাংলানিউজকে বলেন, নির্বাচনে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ সৃষ্টির জন্য সংশ্লিষ্ট সবাইকে নির্দেশনা পাঠানো হয়েছে। সংশ্লিষ্ট পুলিশ সুপার ও থানার ওসিদের সঙ্গে আলোচনা করে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী সংস্থাগুলো তাদের কর্মপরিকল্পনা ঠিক করবে।
আগামী ১৫ মে গাজীপুর ও খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ সময় ১২ এপ্রিল। মনোনয়ন যাচাই-বাছাই হবে ১৫ থেকে ১৮ এপ্রিল। আর ২৩ এপ্রিল প্রার্থিতা প্রত্যাহার করা যাবে।
বাংলাদেশ সময়: ০১১০ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৩, ২০১৮
ইইউডি/এমএ