সময় যতই ঘনিয়ে আসছে ভোটের প্রচার ততই জমজমাট হয়ে উঠছে। সমর্থিত প্রার্থীদের হয়ে ভোটের মাঠে ছুটে আসছেন কেন্দ্রীয় নেতারাও।
রোদ-বৃষ্টি উপেক্ষা করে নিজ দলের প্রার্থীর পক্ষে দিনভর ভোটের মাঠ দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন। মানুষের দ্বারে দ্বারে গিয়ে নিজ দলের প্রার্থীদের জন্য ভোট চাইছেন। প্রচার মিছিল আর গণসংযোগ ছাড়া নিজ প্রার্থীর হয়ে অংশ নিচ্ছেন ঘরোয়া সভা-সমাবেশেও।
এরই মধ্যে বেশ ক’দিন ধরে রাজশাহীতে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটনের জন্য মহানগরীতে অবস্থান করছেন কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য এসএম কামাল হোসেন। ভোটের মাঠে নিরলস কাজ করছেন তিনি।
সর্বশেষ বুধবার (১৮ জুলাই) এই নির্বাচনী বহরে যুক্ত হয়েছেন খুলনা সিটি করপোরেশনের সদ্য নির্বাচিত মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক। নৌকা প্রতীকের জন্য দক্ষিণের রূপশাপাড় থেকে ছুটে এসেছেন উত্তরের পদ্মাপাড়ে। স্থানীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গী করে ভোটের মাঠে ঘাম ঝরাচ্ছেন নৌকার মাঝি হয়ে খুলনায় জয় ছিনিয়ে আনা আব্দুল খালেক।
বুধবার (১৮ জুলাই) রাজশাহী মহানগরীর সাহেব বাজার, জিরোপয়েন্ট, রেলওয়ে স্টেশন ছাড়াও বিভিন্ন দফতরে গণসংযোগ করেন। বৃহস্পতিবার (১৯ জুলাই) রেলভবন ও শিরোইলসহ বিভিন্ন এলাকা ও সরকারি দফতরে গণসংযোগ করেন।
পরে বিকেলে রাজশাহী মেডিকেল কলেজের ডা. কায়সার রহমান মিলনায়তনে স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন। এ সময় রাজশাহীর উন্নয়নে নৌকার পক্ষে ভোট দেওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে খুলনা সিটি করপোরেশনের মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক বলেন, কাজ করলে মানুষ পুরস্কৃত হয়। কিন্তু ২০১৩ সালের নির্বাচনে আমরা পরাজিত হয়েছিলাম। এর কারণে দেশ এগিয়ে গেলেও রাজশাহী, খুলনা, বরিশাল ও সিলেট সিটির কোনো উন্নয়ন হয়নি। কারণ বিএনপির মেয়রদের অযোগ্যতার কারণে তারা প্রকল্প এনে উন্নয়ন করতে পারেননি।
মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক আরো বলেন, গত ৫ বছরে রাজশাহীর মানুষদের উপলব্ধি হয়েছে, তারা বুঝে গেছে, কাকে দিয়ে উন্নয়ন সম্ভব। বিগত সময়ে আমরা একসঙ্গে উন্নয়ন কাজ করেছি। তারপরও ২০১৩ সালে একসঙ্গে হেরেছি।
তবে এবার খুলনা থেকে উন্নয়নের ভোট শুরু হয়েছে। আগামীতে একসঙ্গে কাজ করার সুযোগ এসেছে। খায়রুজ্জামান লিটনকে যদি রাজশাহীবাসী নির্বাচিত করতে পারেন, তবে তিনি যে উন্নয়ন করবেন আর অন্য কাউকে দিয়ে সেই উন্নয়ন সম্ভব নয়। রাজশাহীর উন্নয়নের জন্য এবার নির্বাচনে খায়রুজ্জামান লিটনের বিকল্প নেই।
স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ রাজশাহী জেলা সভাপতি অধ্যাপক ডা. চিন্ময় কান্তি দাসের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় প্রধান বক্তা ছিলেন- এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের সভাপতি অধ্যাপক ডা. এম ইকবাল আর্সনাল, সহ-সভাপতি ডা. তবিবুর রহমান শেখ ও পরিষদের মহাসচিব অধ্যাপক ডা. এমএ আজিজ। এছাড়া স্থানীয় নেতারা বক্তব্য রাখেন।
বাংলাদেশ সময়: ২০৩৫ ঘণ্টা, জুলাই ১৯, ২০১৮
এসএস/এসএইচ