সোমবার (৩১ জুলাই) বেলা ১২টায় রাজশাহীর গর্ভমেন্ট ল্যাবরেটরি হাইস্কুলে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সিটি নির্বাচনের আনুষ্ঠানিকভাবে সরকারি ফল ঘোষণা করেন রাজশাহী আঞ্চলিক নির্বাচন কমিশন। রাসিক নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা সৈয়দ আমিরুল ইসলাম নির্বাচনের আনুষ্ঠানিক ফলাফল জানান।
রিটার্নিং কর্মকর্তা সৈয়দ আমিরুল ইসলাম জানান, নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়র প্রার্থী এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন (নৌকা) পেয়েছেন ১ লাখ ৬৫ হাজার ৯৬ ভোট।
প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির মোহাম্মদ মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল (ধানের শীষ) পেয়েছেন ৭৭ হাজার ৭০০ ভোট।
এছাড়া ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের শফিকুল ইসলাম (হাত পাখা) পেয়েছেন ৩০২৩ ভোট, গণমঞ্চ ও গণসংহতি আন্দোলনের অ্যাডভোকেট মুরাদ মোর্শেদ (হাতি) পেয়েছেন ১০৫১ ভোট এবং বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির হাবিবুর রহমান (কাঁঠাল) পেয়েছেন ৩২০ ভোট।
পাঁচ মেয়র প্রার্থীর মধ্যে এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন (নৌকা) সর্বোচ্চ ভোট পেয়ে রাজশাহী সিটি করপোরেশনের মেয়র পদে নির্বাচিত হয়েছেন।
তিনি আরও জানান, নির্বাচনে আট ভাগের এক ভাগ ভোটের কম পাওয়ায় তিনটি দলের প্রার্থীদের জামানত বাজেয়াপ্ত করেছে নির্বাচন কমিশন। জামানত বাজেয়াপ্ত হওয়া প্রার্থীরা হলেন- ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের শফিকুল ইসলাম (হাত পাখা), গণমঞ্চ ও গণসংহতি আন্দোলনের অ্যাডভোকেট মুরাদ মোর্শেদ (হাতি) ও বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির হাবিবুর রহমান (কাঁঠাল)।
রাজশাহী সিটিতে প্রদত্ত ভোটের আটভাগের এক ভাগ ৩১ হাজার ৩শ’ ৬০টি ভোট। ওই তিন প্রার্থীর কোনো প্রার্থীই এই সংখ্যক ভোট পাননি। এসব প্রার্থী ২০ হাজার টাকা করে জামানত হারিয়েছেন। সিটি করপোরেশন নির্বাচন বিধিমালা অনুযায়ী, ৫ লাখের কম ভোটার সংখ্যা হওয়ায় প্রার্থীদের ২০ হাজার টাকা জামানত দিতে হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪১৮ ঘণ্টা, জুলাই ৩১, ২০১৮
জেডএস