সিসিক নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. আলীমুজ্জামান বাংলানিউজকে এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, সিসিক নির্বাচনে মোট প্রদত্ত ভোট এক লাখ ৯৮ হাজার ৬৫৬। সে হিসেবে জামানত রক্ষায় একজন মেয়র প্রার্থীকে আট ভাগের এক ভাগ তথা ২৪ হাজার ৮৩২ ভোট পেতে হবে।
সে হিসেবে জামানত হারানোর তালিকায় রয়েছেন সিসিক নির্বাচনে আলোচনায় থাকা টেবিল ঘড়ি প্রতীকে নাগরিক ফোরামের ব্যানারে মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বী নগর জামায়াতের আমির অ্যাডভোকেট এহসানুল মাহবুব জুবায়ের। তার প্রাপ্ত ভোট ১০ হাজার ৯৫৪।
ইসলামী আন্দোলন মনোনীত হাতপাখা প্রতীকের মেয়র প্রার্থী ডা. মো. মোয়াজ্জেম হোসেন খাঁন। তার প্রাপ্ত ভোট ২ হাজার ১৯৫।
মই প্রতীকে বাসদ-সিপিবির মনোনীত মেয়র প্রার্থী আবু জাফর। তার প্রাপ্ত ভোট ৯০০। বিএনপির বিদ্রোহী বাসগাড়ি প্রতীকের স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী বদরুজ্জামান সেলিমের প্রাপ্ত ভোট ৫৮২ ও হরিণ প্রতীকের স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী মো. এহছানুল হক তাহের। তার প্রাপ্ত ভোট ২৯২।
অন্যদিকে মেয়র প্রার্থীদের মধ্যে ৯০ হাজার ৪৯৬ ভোট পেয়ে বিএনপি মনোনীত ধানের শীষ প্রতীকের মেয়র প্রার্থী আরিফুল হক চৌধুরী এগিয়ে আছেন। দু’টি কেন্দ্র স্থগিত জটিলতায় তাকে বেসরকারিভাবে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়নি।
সোমবার (৩০ জুলাই) সিসিক নির্বাচনে ১৩৪টি কেন্দ্রের মধ্যে ১৩২টি কেন্দ্রের ফলাফল ঘোষণা করা হয়। ফলাফলে আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়র প্রার্থী নৌকা প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে পেয়েছেন ৮৫ হাজার ৮৭০ ভোট। কামরানের চেয়ে আরিফ ৪ হাজার ৬২৬ ভোটে এগিয়ে আছেন। স্থগিত কেন্দ্র দু’টির ভোট ৪ হাজার ৭৮৭। স্থগিত কেন্দ্র দু’টির ব্যাপারে কমিশন সিদ্ধান্ত নেবে বলে জানিয়েছেন রিটার্নিং কর্মকর্তা।
সিসিক নির্বাচনে ৩ লাখ ২১ হাজার ৭৩২ জন ভোটারের মধ্যে ভোট দিয়েছেন ১ লাখ ৯৮ হাজার ১৫৭ জন। মোট ভোট পড়েছে ৬২ শতাংশ।
ঘোষিত ফলাফল অনুযায়ী সিসিক নির্বাচনে প্রদত্ত ভোট ১ লাখ ৯৮ হাজার ৬৫৬। এরমধ্যে বৈধ ভোট ১ লাখ ৯১ হাজার ২৮৯ এবং বাতিল ভোট ৭ হাজার ৩৬৭। নির্বাচনে ভোট দেননি ১ লাখ ২৩ হাজার ৭৬ জন।
বাংলাদেশ সময়: ১৫২৩ ঘণ্টা, জুলাই ৩১, ২০১৮
এনইউ/আরআর