ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১১ পৌষ ১৪৩১, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

নির্বাচন ও ইসি

সিসিক নির্বাচন

কঠিন পরীক্ষায় নার্গিস-কণা

নাসির উদ্দিন, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২৫৫ ঘণ্টা, আগস্ট ৬, ২০১৮
কঠিন পরীক্ষায় নার্গিস-কণা

সিলেট: ভোটের পরে আবার ভোট! এ যেন কঠিন পরীক্ষা। তাও দুই নারীর মধ্যে। এদের দু’জনকেই আবার সমান পছন্দ ভোটারদের। ভোট পেয়েছেনও সমান-সমান।

৩০ জুলাই অনুষ্ঠিত সিলেট সিটি করপোরেশন (সিসিক) নির্বাচনে সমান সংখ্যক ভোট পাওয়া এ দুই নারী হলেন- সংরক্ষিত ৭ নং ওয়ার্ডের (১৯, ২০ এবং ২১) কাউন্সিলর পদপ্রার্থী নাজনীন আক্তার কণা ও নার্গিস সুলতানা। জিপ গাড়ি প্রতীকে কণা পেয়েছেন ৪ হাজার ১৫৫ ভোট।

তার প্রতিদ্বন্দ্বী চশমা প্রতীকে নার্গিস সুলতানাও সমান সংখ্যক ভোট পেয়েছেন।  

আগামী ১১ আগস্ট সিসিকের স্থগিত দুই কেন্দ্রের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। দুই মেয়র প্রার্থী আরিফুল হক চৌধুরী (ধানের শীষ) ও বদর উদ্দিন আহমদ কামরান (নৌকা) মার্কার চূড়ান্ত বিজয় নির্ধারণ হবে এদিন। তাদের সঙ্গে ভাগ্য নির্ধারণ হবে নার্গিস ও কণারও।

রাজনৈতিক পরিচয়ে আওয়ামী লীগ ঘরানার এ দুই প্রার্থীর মধ্যে নাজনীন আক্তার কণা সিসিকের সাবেক কাউন্সিলর। ২০১৩ সালে তাকে হারিয়ে কাউন্সিলর হন শামীমা স্বাধীন। কিন্তু হাল ছাড়েননি কণা। এবার শামীমা স্বাধীন হারালেও তাকে মুখোমুখি হতে হচ্ছে মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সন্তান নার্গিস সুলতানার। শিক্ষিত, মার্জিত নার্গিস নতুন প্রার্থী হয়েও প্রথম থেকেই আলোচনায় ছিলেন, রয়েছেনও। এ জন্য নতুন করে ফের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হবে তাদের।  

সিসিকের স্থগিত দু’’টি কেন্দ্রের সঙ্গে ৭নং ওয়ার্ডে পূণঃনির্বাচনের দিন ধার্যের পর থেকে ভোটারদের দ্বারে দ্বারে যাচ্ছেন এ দুই প্রার্থী। পাশাপাশি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও তাদের পক্ষে থেমে নেই প্রচার-প্রচারণা।  এবার দেখার পালা জয় নতুন না পুরাতনের।  

সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. আলীমুজ্জামান বাংলানিউজকে বলেন, সংরক্ষিত ৭নং ওয়ার্ডের পূণঃনির্বাচনে ১৪টি কেন্দ্রে ভোট নেওয়া হবে। এসব কেন্দ্রে ৩৪ হাজার ১২৩ জন ভোটার ৯৭টি কক্ষে ভোট দেবেন। এরমধ্যে ১৯ নং ওয়ার্ডে চারটি কেন্দ্রে ৩২টি কক্ষে ১১ হাজার ৬২৬ জন ভোট দেবেন। ২০নং ওয়ার্ডে পাঁচটি কেন্দ্রে ৩১ কক্ষে ১০ হাজার ৫৬৪ জনের ভোট গ্রহণ করা হবে এবং ২১নং ওয়ার্ডে পাঁচটি কেন্দ্রে ৩৪টি কক্ষে ১১ হাজার ৯৩৩ জন ভোটার ভোট দেবেন।  

নির্বাচন কমিশনের তথ্যমতে, সংরক্ষিত ৭নং ওয়ার্ডের ১৪টি কেন্দ্রে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। কেন্দ্রগুলো হলো, ১৯ নং ওয়ার্ডের হাজি শাহ মীর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পূর্ব পাশের ভবন (পুরুষ) ও উত্তর এবং পশ্চিম পাশের ভবন (নারী), বখতিয়ারবিবি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় (পুরুষ), দর্জিপাড়া সার্ক ইন্টারন্যাশনাল কলেজ (নারী), ২০ নং ওয়ার্ডের এমসি কলেজ টিলাগড় (পুরুষ ও নারী), দেবপাড়া নবীন চন্দ্র সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় উত্তর পাশের ভবন (পুরুষ কেন্দ্র) ও দক্ষিণ পাশের (নারী), সৈয়দ হাতিম আলী উচ্চ বিদ্যালয় (নারী ও পুরুষ), ২১ নং ওয়ার্ডের সৈয়দ হাতিম আলী উচ্চ বিদ্যালয় (পুরুষ ও নারী), কালাশীল চান্দুশাহ জামেয়া ইসলামিয়া দাখিল মাদরাসা (পুরুষ ও নারী), সোনারপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় (পুরুষ ও নারী), শিবগঞ্জ স্কলার্সহোম প্রিপারেটরী স্কুল (পুরুষ ও নারী)।  

এছাড়া স্থগিত হওয়া ২৪নং ওয়ার্ডের গাজি বুরহান উদ্দিন গরম দেওয়ান সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় (পুরুষ ও মহিলা) কেন্দ্রে ২ হাজার ১২১ ভোটার এবং হবিনন্দি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ২ হাজার ৫৬৬ ভোটার রয়েছে।  

৩০ জুলাই অনুষ্ঠিত সিসিক নির্বাচনে ২৭টি ওয়ার্ডে ১৩৪টি কেন্দ্রের ১৩২টির ঘোষিত ফলাফলে আরিফুল হক চৌধুরী ধানের শীষ প্রতীকে পেয়েছেন ৯০ হাজার ৪৯৬ ভোট। আওয়ামী লীগ প্রার্থী বদরউদ্দিন আহমদ কামরান নৌকা প্রতীকে পেয়েছেন ৮৫ হাজার ৮৭০ ভোট।  ১৩২ কেন্দ্রের ফলাফলে ৪ হাজার ৬২৬ ভোটে আরিফ এগিয়ে থাকলেও এ দুই কেন্দ্রের মোট ভোট ৪ হাজার ৭৮৭। সেই হিসেবে স্থগিত কেন্দ্রের ভোটের চেয়ে ১৬১ ভোট পিছিয়ে আরিফ। ফলে কেন্দ্র দু’টিতে ফের নির্বাচন ঘোষণা করা হয় নির্বাচন কমিশন।

বাংলাদেশ সময়: ০৪৪৫ ঘণ্টা, আগস্ট ০৭, ২০১৮
এনইউ/এনএইচটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।