বৃহস্পতিবার (৯ আগস্ট) নাটোর পৌরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ডে স্মার্টকার্ড বিতরণের নির্ধারিত দিন ধার্য্য ছিল। সকালে স্থানীয় সংসদ সদস্য শফিকুল ইসলাম শিমুল স্মার্টকার্ড বিতরণের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন।
স্থানীয়রা অভিযোগ করে জানান, নাটোর পৌরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ডে মোট ভোটার সংখ্যা তিন হাজার ৯৭৩ জন। কিন্তু অব্যবস্থাপনার কারণে এ ওয়ার্ডের বাসিন্দাদের অনেককে কার্ড না নিয়েই ফিরে যেতে হয়েছে।
তাদের অভিযোগ, ঘণ্টার পর ঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে গিয়ে ভোগান্তি পোহাতে হয়েছে। বিশেষ করে নারী ও বৃদ্ধদের পোহাতে হয়েছে অসহনীয় দুর্ভোগ। কার্ড বিতরণের জন্য ছিল না কোনো নিয়ম-শৃঙ্খলা। মানুষ নিজেরাই লাইন করে দাঁড়ালেও কার্ড বিতরণের ছিল ধীরগতি। অনেকে সারাদিন লাইনে দাঁড়িয়ে থেকেও কার্ড পাননি।
কান্দিভিটা এলাকার বাসিন্দা জুলফিকার হায়দার জোসেফ বাংলানিউজকে বলেন, নারী-পুরুষের ভিড় দেখে তিনি দুপুর ২টার দিকে নাটোর পিটিআই কেন্দ্রে স্মার্টগার্ড নিতে যান। কিন্তু ৪টার পরও ভিড় না কমায় তিনি বাড়ি ফিরে যান।
লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা বাদল শেখ, সোলেমান, ফজলুর হক জানান, প্রায় দুই থেকে তিন ঘণ্টা তারা লাইনে দাঁড়িয়ে ছিলেন। ভিড় না কমায় ফিরে গেছেন। সাবরিনা বেগম ও নিগার সুলতানা নামে দুই নারী কার্ড নিতে এসে তীব্র তাপাদহের মধ্যে বিকেল পর্যন্ত লাইনে দাঁড়িয়ে থেকে অসুস্থ হয়ে পড়েন।
তাদের অভিযোগ, দু’টি বুথে স্মার্টকার্ড বিতরণের কারণে কাজের গতি ছিল না। একটি বুথে পুরুষ এবং অপর বুথে নারীদের জন্য। দু’জন করে মোট চারজন কার্ড সরবরাহ কাজে নিয়োজিত ছিলেন। সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার পরও মানুষ লাইনে দাঁড়িয়ে ছিল।
জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. আব্দুর রহিম বাংলানিউজকে জানান, নাটোরে নয়টি টিমে মোট ২৭ জন স্মার্টকার্ড বিতরণের কাজ করছেন। প্রতিটি টিমে তিনজন করে এবং একজন তদারকি অফিসার হিসেবে কাজ করছেন। প্রথম দিন নাটোর পৌরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ডে কার্ড বিতরণ করা হয়।
‘প্রথম দিন কিছুটা সমস্যা হতে পারে। বেলা ১২টার দিকে শান্তিপূর্ণ ও সুশৃঙ্খল পরিবেশ বিরাজ করছিল। পরে ভিড় বেড়ে যাওয়ায় সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে। ’
তবে যতক্ষণ লাইনে মানুষ থাকবে ততক্ষণ কার্ড বিতরণ করার নির্দেশ দেওয়া আছে বলেও জানান এ কর্মকর্তা।
বাংলাদেশ সময়: ২১১২ ঘণ্টা, আগস্ট ০৯, ২০১৮
জিপি