এছাড়া সংরক্ষিত ৭নং ওয়ার্ডে (১৯, ২০ ও ২১) সমান সংখ্যক ভোট পাওয়া দুই কাউন্সিলর নির্বাচনেরও ভোটগ্রহণ হয়েছে।
শনিবার (১১ আগস্ট) সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ভোট দেন ভোটাররা।
গত ৩০ জুলাই বরিশাল ও রাজশাহীর সঙ্গে সিলেট সিটি করপোরেশনেও নির্বাচন হয়। ওই দুই সিটিতে আওয়ামী লীগ প্রার্থী জয়ী হলেও সিলেটে এগিয়ে থাকেন বিএনপির প্রার্থী আরিফুল হক চৌধুরী।
নির্বাচনে মেয়র পদে নৌকা প্রতীকের বদরউদ্দিন আহমদ কামরানের চেয়ে ধানের শীষ নিয়ে আরিফুল হক চৌধুরী ৪ হাজার ৬২৬ ভোটে এগিয়ে থাকেন।
তবে অনিয়মের অভিযোগে স্থগিত হওয়া দুটি কেন্দ্রের ভোট ৪ হাজার ৭৮৭টি। আর এগিয়ে থাকা বিএনপি প্রার্থীর ভোটের চেয়ে স্থগিত দুই কেন্দ্রের ব্যবধান মাত্র ১৬১টি ভোট।
তাই নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা করা হয়নি। পরে শনিবার (১১ আগস্ট) দুই কেন্দ্রে ভোটের তারিখ ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন।
এর মধ্যে গত ৯ আগস্ট আরিফুল হক চৌধুরী ভোটার তালিকা হালনাগাদ করতে রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে ৩০১ জনের তালিকা দিয়েছেন। ভোটার তালিকায় থাকা এই ৩০১ জন মৃত ও প্রবাসী বলে দাবি করেন তিনি।
এদিকে শনিবার সকালে ভোটকেন্দ্রে গিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন বিএনপি প্রার্থী আরিফুল হক চৌধুরী।
আর আওয়ামী লীগ প্রার্থী কামরান বলেন, জনগণের রায় যাই হোক, তা মেনে নেবো। তবে শান্তিপূর্ণ নির্বাচনে এটাই প্রমাণিত বর্তমান সরকারের অধীনে নির্বাচন কমিশনের দ্বারা সুষ্ঠু নির্বাচন করা সম্ভব।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সংশ্লিষ্ট নির্বাচন কর্মকর্তারা বলেন, নগরের ২৪ নম্বর ওয়ার্ডের গাজী বোরহান উদ্দিন গরম দেওয়ান সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ২২২১ ভোটের মধ্যে কাস্ট হয়েছে ১৩১২ ভোট ও ২৭ নম্বর ওয়ার্ডের হবিনন্দি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্র ২৫৬৬ ভোটের মধ্যে কাস্ট হয়েছে ১৫০১ ভোট।
গত ৩০ জুলাই নির্বাচনে ৭ নম্বর ওয়ার্ডের নারী কাউন্সিলর নাজনীন আক্তার কনা (জিপ গাড়ী) প্রতীকে চার হাজার ১৫৫ ভোট পান। তার সমান সংখ্যক ভোট পান প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী নার্গিস সুলতানা (চশমা)।
এ দুই প্রার্থীর জন্য ১৪টি কেন্দ্রে ভোট হয়। এসব কেন্দ্রে ভোটার সংখ্যা ৩৪ হাজার ১২৩ জন।
** সিসিকে মেয়র পদে স্থগিত দু’টিসহ ১৬ কেন্দ্রে ভোট
বাংলাদেশ সময়: ১৬২০ ঘণ্টা, আগস্ট ১১, ২০১৮
আরআইএস/