রোববার (১৯ আগস্ট) সকালে জেলা নির্বাচন অফিসে গিয়ে দেখা যায়, স্মার্টকার্ড নিতে আসা সাধারণ মানুষের দীর্ঘ লাইন। তারা সবাই স্মার্টকার্ড নিতে এসেছেন।
ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, অভিজ্ঞতা সম্পন্ন জনবল না থাকায় স্মার্টকার্ডে এ ধরনের ভুল হয়েছে।
টাঙ্গাইল পৌর এলাকার ২নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা মো. মোবারক হোসেন। সকালে জেলা সদর স্কুলে যান স্মার্টকার্ড আনার জন্য। সেখানে গিয়ে তিনি তার স্মার্টকার্ড সংগ্রহ করে দেখেন তার জন্ম তারিখ (স্লিপ অনুযায়ী) ১৯৯৫ সালের ২০ নভেম্বরের স্থলে ২৫ জানুয়ারি ১৯৯৫ উল্লেখ করা হয়েছে।
একই ওয়ার্ডের পিযুষ চন্দ্র সরকারের ১৬ এপ্রিল ১৯৯৬ এর স্থলে দেওয়া হয়েছে ১৬ এপ্রিল ১৯৯৫। এসময় কথা হয় একই ওয়ার্ডের মো. শাহাতদ হোসেনের সঙ্গে। তিনি জানান, স্মার্টকার্ড হাতে পাওয়ার পর দেখেন তার নাম ভুল হয়েছে। সঠিক নামের পরিবর্তে তার নাম উল্লেখ করা হয়েছে শাহাদাত হোসেন। এতে করে তিনি বিভ্রান্তির মধ্যে পড়েছেন।
২নং ওয়ার্ডের এনায়েতপুর গ্রামের শেখ মনিরুজ্জামান মনির স্মার্টকার্ড সংগ্রহ করেছেন। কিন্তু তাতে তার নাম ভুলক্রমে মনির হোসেন এবং জন্ম তারিখ ২০ জুলাই ১৯৭৩-এর স্থলে ২০ জুলাই ১৯৮৫ উল্লেখ করা হয়েছে। তিনি জানান, দক্ষ জনবলের অভাবে এ ধরনের ভুল হয়েছে। আর এতে তাদের চরমভাবে বেকায়দায় ফেলা হয়েছে।
টাঙ্গাইল জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা তাজুল ইসলাম বাংলানিউজকে জানান, আগের কার্ডে ভুল থাকায় নতুন করে দেওয়া স্মার্টকার্ডেও ভুল হয়েছে। পর্যায়ক্রমে ভুল হওয়া কার্ডগুলো সংশোধন করা হবে। সেক্ষেত্রে ভুক্তভোগীদের ব্যাংকের মাধ্যমে ২১৫ টাকা জমা দিতে হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৫৪ ঘণ্টা, আগস্ট ১৯, ২০১৮
এনটি