নির্বাচন ভবনে রোববার (১৯ আগস্ট) নিজ কার্যালয়ে সংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।
কবিতা খানম বলেন, সংসদ নির্বাচনের জন্য আমরা তো মোটামুটি প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছি।
তিনি বলেন, আরপিওতে আসলে কিভাবে আসবে নীতিমালা কি হবে, এসব ভাবার বিষয় আছে। মেশিন কিনলেই হবে না। যারা এর পেছনে থাকবেন তাদের প্রশিক্ষিত করতে হবে। জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহারের চিন্তাভাবনা ইসির আছে।
সংসদ নির্বাচনে রিটার্নিং কর্মকর্তা নিয়োগের বিষয়ে তিনি বলেন, রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে প্রশাসনের লোকবলের (জেলা প্রশাসক) পাশাপাশি নির্বাচন কমিশনের নিজস্ব কর্মকর্তাদের নিয়োগের বিষয়টিও সম্পূর্ণ কমিশনের সিদ্ধান্তের বিষয়। এসব বিষয় নিয়ে আমরা এখনো সক্রিয়ভাবে চিন্তাভাবনা করছি না। ঈদের পর কমিশন বৈঠক আছে। তখন আলোচনা করা হবে। মৌলিক আইনি কাঠামোতে ইভিএম ঢোকানোর বিষয়টি আমরা দেখবো। অনলাইনে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার বিষয়টিও রয়েছে। এছাড়া জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আচরণ বিধিমালায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও প্রচারবিধি কিরূপ হবে তা নিয়ে আলোচনা করা হবে।
কবিতা খানম বলেন, সংসদ নির্বাচনের আগে নতুন করে কোনো দলকে নিবন্ধন দেওয়ার কোনো চিন্তাভাবনা আমাদের নেই। অনেক আবেদন এসেছিল। দু'টো বিবেচনার জন্য রাখা হয়েছে। নিবন্ধন দেওয়ার সুযোগ থাকলে তারা পাবে।
তিনি বলেন, ভোটকেন্দ্র বাছাই শেষ হয়েছে। আপত্তির পর শুনানি হবে। আজ আপত্তি দেওয়ার শেষ দিন। ৪০ হাজারের মতো তালিকা আছে। বাড়বে কি না, পরে জানা যাবে।
কমিশনের ঐক্যের প্রসঙ্গে এ নির্বাচন কমিশনার বলেন, আমাদের মধ্যে মতবিরোধ বলতে কিছু নেই। কেননা, সংখ্যাগরিষ্ট মতামতের ভিত্তিতেই সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথা সংবিধানে বলা আছে। দুই একজন নোট অব ডিসেন্ট দিতেই পারেন। কাজেই কেন বলা হচ্ছে দ্বিধা বিভক্ত? এটা সংবিধানই অধিকার দিয়েছে। মতপার্থক্য তো থাকবেই। জাস্টিসের জন্যই এটা দরকার।
নির্বাচনে সহিংসতা বিষয়ে তিনি বলেন, আমরা ভারতের তুলনায় অনেক ভাল আছি। কোথাও সহিংসতা তো নেই। ভারতের একটা পঞ্চায়েত নির্বাচনেই কত সহিংসতা হয়। কিন্তু ওরা নিজেদের অনেক বড় করে দেখায়।
বাংলাদেশ সময়: ১৭২৩ ঘণ্টা, আগস্ট ১৯, ২০১৮
ইইউডি/জেডএস