মঙ্গলবার (২৮ আগস্ট) দুপুরে রাজধানীর আগারগাঁও নির্বাচন ভবনের নিজ কার্যালয়ে তিনি সাংবাদিকদের একথা জানান।
হেলালুদ্দীন বলেন, আগামী ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
‘তাছাড়া ডিসেম্বরের শেষ দিকে শিক্ষার্থীদের ছুটি থাকে। ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহে নির্বাচন হবে, সে অনুযায়ী নির্বাচনী সব প্রস্তুতি নিয়ে এগোচ্ছে ইসি। নির্বাচনকে ঘিরে এরইমধ্যে ৮০ শতাংশের বেশি কাজ সম্পন্ন হয়েছে। ’
জাতীয় নির্বাচনে ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহার প্রসঙ্গে ইসি সচিব বলেন, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহার করার পরিকল্পনা আছে ইসির। সে লক্ষ্যে দেড় লাখ ইভিএম কেনার জন্য পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ে একটি প্রস্তাবনা পাঠানো হয়েছে। তবে ইভিএম ব্যবহার করার আগে এর আইনটি সংশোধন করা দরকার।
তিনি জানান, বৃহস্পতিবার (৩০ আগস্ট) কমিশন সভায় আরপিও সংশোধন-সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে আলোচনা হবে। এরপর তা ভেটিংয়ের (যাচাই-বাছাই) জন্য আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে। আইন পাস হলে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে কথা বলবে কমিশন। তখন সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে, সংসদ নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহার করা হবে কি-না।
জাতীয় নির্বাচনের পরেই সারাদেশের সব উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে; সেখানেও ইভিএম ব্যবহার করার চিন্তা করছে ইসি।
এদিকে বিএনপিসহ বেশিরভাগ রাজনৈতিক দল সংসদ নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহারে আপত্তি করলেও ৩ হাজার ৮২৯ কোটি টাকার একটি প্রকল্প হাতে নিয়েছে ইসি। দেড় লাখ ইভিএম কেনার জন্য একটি প্রস্তাব পরিকল্পনা কমিশনে পাঠানো হয়েছে।
তবে প্রকল্পটি নিয়ে সুনির্দিষ্ট কোনো ব্যাখ্যা দেখাতে না পারায় তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে পরিকল্পনা কমিশন।
এর আগে নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে সংলাপে প্রায় সব দলই ইভিএমের বিপক্ষে মত দেয়। তবে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন মহাজোট শুরু থেকেই ইভিএম ব্যবহারের পক্ষে মত দিয়েছে।
তবে রাজনৈতিক দলগুলো না চাইলে নির্বাচনে ইভিএম পদ্ধতির প্রয়োগ হবে না বলে ওই সময় আশ্বস্ত করেছিলেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদা।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৩১ ঘণ্টা, আগস্ট ২৮, ২০১৮/আপডেট: ১৫৫৮ ঘণ্টা
এমআইএস/এএ