নির্বাচন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে সোমবার (৩ সেপ্টেম্বর) ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহার সংক্রান্ত দু’দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ কর্মসূচির উদ্বোধনের সময় তিনি এসব কথা বলেন।
নূরুল হুদা বলেন, ইভিএম নিয়ে আমরা এখন প্রস্তুতিমূলক অবস্থানে রয়েছি।
তিনি বলেন, আইন পাস হলে র্যানডমলি ইভিএম ব্যবহার করা হবে। সরকার যদি আইন পাস করে দেয়, আর পরিবেশ পরিস্থিতি যদি অনুকূলে থাকে তবেই সংসদ নির্বাচনে র্যানডমলি ইভিএম ব্যবহার করা হবে। তিনশ’ আসনের মধ্যে ২৫টি আসনে ইভিএম ব্যবহার করবো। র্যানডমলি আসনগুলো বাছাই করবো। এখানে কারো পছন্দ-অপছন্দের বিষয় থাকবে না।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, নতুনভাবে কিছু শুরু করলে আলোচনা-সমালোচনা হয়। ইভিএম কিভাবে ব্যবহার হবে সেটা নিয়ে স্বাভাবিকভাবে তাদের (দলগুলো) মধ্যে উৎকন্ঠা থাকবে সেটাই তারা করেছে। অনেক প্রশ্নের উদ্ভব হয়েছে, সেগুলো প্রাসঙ্গিক। এগুলো নিয়ে আমরা ব্যাপকভাবে প্রচারে পৌঁছাতে পারিনি।
তিনি বলেন, প্রযুক্তি এখন বাক্সে বন্দি নেই। মানুষের হাতে হাতে, চিন্তা চেতনায় প্রবেশ করেছে। ২০১০ সালে যখন ইভিএম শুরু হয়, তখন ভুলত্রুটি ছিল। তবে এখন আমরা উন্নত প্রযুক্তি এনেছি। আমরা মেলা আয়োজন করে এগুলো ব্যাখ্যা করবো। মানুষের কাছে বিস্তারিতভাবে উপস্থাপন করবো। জেলায় জেলায় মেলার আয়োজন করা হবে। সেখানে ত্রুটি থাকলে অবশ্যই সেটা ব্যবহার করা হবে না।
সিইসি বলেন, ইভিএমের জন্য সরকারিভাবে অর্থ সরবরাহ করা হবে। আমাদের কাছে কোনো তহবিলই আসবে না। তাহলে আমাদের জন্য সুবিধা হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১১৩৯ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৩, ২০১৮
ইইউডি/আরবি/